জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লার বাড়িতে জোর করে ঢুকতে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে মারা গেলেন এক যুবক।
ঘটনা আজ সকালের। জম্মুর বাঠিন্ডি এলাকার ওই বাড়িতে বাবার সঙ্গে থাকেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। কিন্তু ঘটনার সময় পিতা-পুত্র কেউই ওই বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মুরাদ আলি শাহ। তাঁর বাড়ি পুঞ্চ জেলার কাংড়ার ঘুলাটা এলাকায়। আজ তিনি প্রথমে তাঁর এসইউভিটি নিয়ে ফারুকের বাড়ির মূল ফটকের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেন। সেই সময় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি লাগে। তার পরেই সিআরপি-র ই/৩৮ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
কী উদ্দেশ্যে ওই যুবক এ কাজ করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জম্মুর আইজিপি এসডি সিংহ জামওয়ালের বক্তব্য, ‘‘ভিআইপি গেট দিয়ে ওই যুবক জোর করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কেন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে তিনি নিরস্ত্র ছিলেন।’’ জম্মুর এসএসপি ভি গুপ্ত জানিয়েছেন, ডিউটি অফিসারের সঙ্গে গোলমালের সময় বাড়ির কিছু জিনিসপত্র ভেঙে গিয়েছে। ওই যুবক মূল ফটক পেরিয়ে বাড়ির ভিতররে দরজা পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছিলেন।
ঘটনার সময় দিল্লি থেকে জম্মু ফিরছিলেন ফারুক আবদুল্লা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এর থেকেই বোঝা যায় রাজ্যে নিরাপত্তার অবস্থাটা ঠিক কী। ওই যুবকের উদ্দেশ্য পুলিশের অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত।’’
ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন ওমর আবদুল্লাও। লিখেছেন, ‘‘শুনলাম আমি আর বাবা জম্মুর যে বাড়িতে থাকি, সেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি তো মূল ফটক পেরিয়ে বাড়ির ভিতরেই প্রায় ঢুকে পড়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy