Advertisement
E-Paper

মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকের হাতে লেখা দুই নামের এক জনকে ধরল পুলিশ! নির্যাতন পাঁচ মাস ধরে? এখনও অধরা অপর জন

তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক জন এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। শনিবার সকালে এ কথা জানিয়েছেন সাতারার পুলিশ সুপার।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৪২
বাঁ হাতের তালুতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক।

বাঁ হাতের তালুতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসকের হাতে লেখা দুই নামের এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তরুণীর বাড়িওয়ালার পুত্র প্রশান্ত বঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শনিবার সকালে জানিয়েছেন সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘ফলটন তালুকে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রশান্ত বঙ্করকে আমরা গ্রেফতার করেছি। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। দ্বিতীয় অভিযুক্ত পুলিশ সাব-ইনস্পেক্টর এখনও পলাতক। তাঁকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।’’

গত বৃহস্পতিবার রাতে ফলটনের একটি হোটেল থেকে তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বাঁ হাতের তালুতে শেষ বার্তা লিখে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দু’জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। অভিযোগ, এসআই পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে চার বার ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়া, বাড়িওয়ালার পুত্র টানা পাঁচ মাস ধরে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছেন। ফলটনের একটি সরকারি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ওই তরুণী।

যে এসআই-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তরুণীর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বিরোধীরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার-অপরাধের ঘটনা বর্তমান সরকারের আমলে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করছে তারা। ক্ষমতাসীন সরকার অবশ্য সে সব দাবি মানতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দ্রুত তাঁকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, চাপ দিয়ে নানা অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হত তরুণীকে। এমনকি, লিখিয়ে নেওয়া হত ভুয়ো মেডিক্যাল রিপোর্ট। কোনও রকম শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই ওই সমস্ত রিপোর্ট লিখতে বাধ্য করা হত তরুণীকে। হুমকিও দেওয়া হত। একাধিক বার ডিএসপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চিঠি লিখেছিলেন তিনি, কিন্তু লাভ হয়নি। পুলিশ সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও কয়েকটি সূত্রের দাবি, কাগজেও মৃত্যুর কারণ লিখে গিয়েছেন তরুণী। চার পাতার একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে ভুয়ো মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য চাপের কথা তিনি লিখেছেন। এমনকি, এক সাংসদ তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।

Maharashtra Maharashtra Crime Rape case doctor death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy