Advertisement
E-Paper

বালাকোট অভিযানে সাফল্যের সঙ্কেত ছিল ‘বান্দর’

বালাকোট অভিযানের সময়ে বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ছিলেন হরি কুমার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০৬
এক বছর আগে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এখানেই গুলি করে নামানো হয়েছিল অভিনন্দনের যুদ্ধবিমান, দেখাচ্ছেন এক পাক সেনা অফিসার। এপি

এক বছর আগে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এখানেই গুলি করে নামানো হয়েছিল অভিনন্দনের যুদ্ধবিমান, দেখাচ্ছেন এক পাক সেনা অফিসার। এপি

হিন্দিতে শব্দটার অর্থ হল বাঁদর। বালাকোট অভিযানে সাফল্যের সঙ্কেত হিসেবে এই শব্দটাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা কমান্ডার হরি কুমার।

বালাকোট অভিযানের সময়ে বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ছিলেন হরি কুমার। পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে বায়ুসেনার বোমাবর্ষণের পরিকল্পনার ভার ছিল তাঁর উপরেই। আজ, বালাকোটের বর্ষপূর্তির দিনে কুমার বলেন, ‘‘২৬ ফেব্রুয়ারি আমার জন্মদিনও। ওই অভিযানের পরেই অবসর নিই। ২৫ ফেব্রুয়ারি আমার বিদায়ভোজের আয়োজন করেছিল বায়ুসেনা। সেখানে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান (বি এস ধানোয়া) আমার কাছে অভিযানের প্রস্তুতির কথা জানতে চান। জানিয়ে দেন, সাফল্য পেলে বান্দর শব্দটি ব্যবহার করে সঙ্কেত পাঠাতে হবে।’’ ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর তিনটে বেজে পঞ্চান্ন মিনিটে হরি কুমার বায়ুসেনা প্রধানকে সঙ্কেত পাঠান, ‘বান্দর’।

অভিযানের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন হরি কুমার। তাঁর কথায়, ‘‘পুলওয়ামা হামলার পরে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান আমার কাছে জানতে চান, পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড অভিযানের জন্য তৈরি কি না।’’ ১৫ ফেব্রুয়ারি ধানোয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন হরি কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি, পাক সামরিক ঘাঁটি ও পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের চরম সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয় সরকারের উপরে।

আরও পড়ুন: মাঝরাতেই বদলি দিল্লির ‘রক্ষাকর্তা’ সেই বিচারপতি

কুমার জানিয়েছেন, বালাকোটে জইশের শিবির নিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছিল গুপ্তচর সংস্থা র। তার ভিত্তিতেই ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বৈঠকে ওই শিবিরকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। বালাকোটের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ দিন শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিগ-২১ বিমানে উড়লেন বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদৌরিয়া। বায়ুসেনা জানিয়েছে, বালাকোট অভিযানের পরে ওই ঘাঁটি থেকেই পাক বায়ুসেনার হামলা মোকাবিলার জন্য উড়েছিলেন অভিনন্দন বর্তমান-সহ মিগ পাইলটেরা। পরে বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ‘‘অভিযানে কী ক্ষতি করা গেল তা বোঝানোর প্রযুক্তি থাকা প্রয়োজন। কারণ, তা পরে তথ্যের যুদ্ধে কাজে লাগে।’’ বালাকোট অভিযানের পরে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা উপগ্রহ চিত্র তুলে ধরে দাবি করেন, বালাকোটের জঙ্গি শিবিরের কোনও ক্ষতিই হয়নি। পাকিস্তানও একই দাবি করে। ভারতীয় বায়ুসেনার দাবি, তারা ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে না-পারায় স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়নি। বিদেশ থেকে পাওয়া উপগ্রহ চিত্রও আন্তর্জাতিক চুক্তির ফলে প্রকাশ করা যায়নি। এ দিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ টুইট করেন, ‘‘বায়ুসেনাদের সাহসের জন্য তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছি।’’ অন্য দিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, ‘‘ভারতের হামলার পরে সংযত ভাবে জবাব দিয়েছিলাম।’’

Abhinandan Varthaman Indian Army India Pakistan Balakot
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy