২০১৪-র ২৬ মে নরেন্দ্র মোদী প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। সেই হিসেবে ২৬ মে-ই মোদী সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু তার বদলে বিজেপি ৯ জুনকে কেন্দ্র করে ১১ বছর পূর্তি উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রীরা সরকারের সাফল্য তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে শুরু করেন। বিভিন্ন মন্ত্রীরা সরকারের কাজের ফলে দেশের ভোলবদল নিয়ে নিবন্ধ লিখছিলেন। জনসংযোগ কর্মসূচিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা ১১ বছর পূর্তি উদযাপনে জল ঢেলে দেওয়ায় মোদী সরকার তথা বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হতাশার কারণ, সরকারের সাফল্যের প্রচার থেকে নজরটা দুর্ঘটনার দিকে ঘুরে গিয়েছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতের আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা হওয়ায় বিজেপির মন্ত্রী-নেতারা আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিমান দুর্ঘটনাকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের প্রচারের জন্য কাজে লাগিয়েছেন। শুক্রবার আমদাবাদে সঙ্গে করে নিজের চিত্রগ্রাহকদের নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে ছবি তুলিয়েছেন। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা মোদীকে এই আক্রমণ করায় আজ বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, রাহুল গান্ধী কোথায়?
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়র দাবি, ‘‘রাহুল গান্ধী ফের এক বার গোপন, অজ্ঞাত বিদেশ যাত্রায় চলে গিয়েছেন।’’ কংগ্রেস এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে আজ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে আমদাবাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। প্রয়োজনে কংগ্রেসের তরফ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে খড়্গে ফের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বক্তব্য, ‘‘কোথায় ত্রুটি ছিল, তা বোঝাটা খুব জরুরি। আমার মনে হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবে।’’
শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-র সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, প্রফুল্ল পটেল যখন বিমানমন্ত্রী হিসেবে বোয়িংয়ের থেকে ড্রিমলাইনার বিমান কেনার চুক্তি করেছিলেন, সে সময়ে বিজেপি এর বিরোধিতা করেছিল। এখন এই সব বিমান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কে রয়েছে? কেন আমদাবাদেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটল? তার পরেও মন্ত্রীরা ঘটনাস্থলে যে আচরণ করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)