E-Paper

ওয়াকফ নিয়ে জেপিসি-র মেয়াদ বাড়ানোর দাবি

নরেন্দ্র মোদী সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনে সংসদে। যা লোসকভায় পেশ হওয়ার পরেই পর্যালোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৮

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সংশোধিত ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার জন্য গঠিত জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বাড়ানোরজন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে দাবি জানালেন ওই কমিটির বিরোধী দলের অধিকাংশ সাংসদ সদস্য। যদিও কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দাবি, ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত। সরকার চাইলেই রিপোর্ট সংসদে জমা দেবে কমিটি।

নরেন্দ্র মোদী সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনে সংসদে। যা লোসকভায় পেশ হওয়ার পরেই পর্যালোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। আলোচনার জন্য তিন মাস সময় ধার্য করা হয়। যাতে শীতকালীন অধিবেশনে ওই বিলটি নিয়ে এসে তা পাশ করিয়ে নিতে পারে শাসক শিবির। গত ২১ নভেম্বর জেপিসি কমিটির বৈঠক হয়। সেটিই ওই কমিটির শেষ বৈঠক বলে কার্যত সে দিন জানিয়ে দিয়েছিলেন জগদম্বিকা। যা শোনার পরেই বৈঠকের দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বিরোধী সাংসদেরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার দ্বারস্থ হন। স্পিকার বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আজ দুপুরে বিরোধী সাংসদদের একটি দল সংসদে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘স্পিকার সব শুনে সময় বাড়ানোর প্রশ্নে আশ্বাস দিয়েছেন।’’ ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য ডিএমকে সাংসদ এ রাজা বলেন, ‘‘স্পিকারকে আমরা জানিয়েছি, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান নিয়ম না মেনে বৈঠক করেছেন। বিরোধীদের ‘ডিসেন্ট নোট’ বা যে যে বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তা নথিবদ্ধ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিলের প্রতিটি ধারা ধরে ধরে ভোটও হয়নি। একাধিক পদ্ধতিগত কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তাই সময় বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে।’’ বিরোধীদের মতে, ওয়াকফ বিলে সংশোধনের ফলে ওয়াকফ আইনে একাধিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। যার প্রভাব সদূরপ্রসারী হবে। সেই কারণে আলোচনার জন্য তিন মাস সময় যথেষ্ট নয়। কল্যাণের কথায়, ‘‘বিলটি নিয়ে যথাযথ আলোচনার লক্ষ্যেই কমিটির মেয়াদ যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।’’ যদিও কমিটির মেয়াদ যে বাড়ছে, এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে আজ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচশো পাতার রিপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। সরকার চাইলেই তা আমরা সংসদে জমা দেব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Joint Parliamentary Committee Waqf Board Waqf Bill Om Birla Lok Sabha Speaker

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy