নরেন্দ্র মোদীর মা হীরা বেন মারা গিয়েছিলেন ২০২২-এর ডিসেম্বরে। ২০২৩-এর ৭ মে প্রধানমন্ত্রীর ভাই পঙ্কজ মোদী বারাণসীতে গিয়ে মায়ের পিণ্ডদান করে এসেছিলেন। সে দিন নরেন্দ্র মোদী ছিলেন বেঙ্গালুরুতে, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে। এ বার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর, তাঁর নিজের জন্মদিনে গয়ায় গিয়ে ফের মায়ের পিণ্ডদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কংগ্রেস ও আরজেডি শিবির প্রশ্ন তুলল— নরেন্দ্র মোদী কি তাঁর মায়ের পিণ্ডদানকেও রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে চাইছেন?
কংগ্রেস, আরজেডি-র নেতারা সরাসরি এ নিয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিহারের মাটিতে দুই দলই এ নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আরজেডি-র এক নেতা বলেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে কিছু বলছি না। কারণ মায়ের পিণ্ডদান ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে বললে বিজেপি আরও বেশি করে রাজনীতি করবে। কিন্তু মানুষ প্রশ্ন তুলছে।’’
বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিচু স্তরের রাজনীতি করছেন। এর আগে বিহারে রাহুল-তেজস্বীর ভোটার অধিকার যাত্রার সময় নরেন্দ্র মোদী মা সম্পর্কে অপশব্দ প্রয়োগ নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রীও তাঁর মায়ের সঙ্গে সকলের মা’কে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস-আরজেডি নেতারা বলছেন, এই মায়ের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করতেই মোদী গয়ায় মায়ের পিণ্ডদান করছেন। চাইলে তিনি গত তিন বছরে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী বা গুজরাতে তাঁর আদি ভিটে ভাডনগর থেকে কাছে সিদ্দপুরে মাতৃগয়ায় পিণ্ডদান করতে পারতেন।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘নোট বাতিলের পরে যখন গোটা দেশ ক্ষুব্ধ, সে সময়ও নরেন্দ্র মোদী নিজের নব্বই বছরের মা’কে নোট বদলের জন্য ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড় করিয়েছিলেন। উনি রাজনীতির জন্য সব কিছু করতে পারেন। তাই মায়ের পিণ্ডদানকেও রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রাখেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)