Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিমা বিল নিয়ে ধীরে চলতে চান বিরোধীরা

বিমা বিলটি নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার জন্য সরকারকে এক যোগে পরামর্শ দিল কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম ও জেডিইউয়ের সাংসদেরা। আজ ওই বিল সংক্রান্ত সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির প্রথম বৈঠকে সমস্ত খুঁটিনাটি বুঝতে বিমা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তিদের কমিটির সামনে ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯
Share: Save:

বিমা বিলটি নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার জন্য সরকারকে এক যোগে পরামর্শ দিল কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম ও জেডিইউয়ের সাংসদেরা। আজ ওই বিল সংক্রান্ত সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির প্রথম বৈঠকে সমস্ত খুঁটিনাটি বুঝতে বিমা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তিদের কমিটির সামনে ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত বাদল অধিবেশনেই বিমা ক্ষেত্রে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিলটি সংসদে পেশ হলে সেটির রূপরেখা নিয়ে আপত্তি জানায় কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় জটিলতা কাটাতে বিলটিকে ১৫ সদস্যের সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আজ সেই কমিটির প্রথম বৈঠকেই কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্র চলতি মাসেই ছ’টি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত জানান। চন্দনবাবু ওই প্রস্তাব দিতেই তাতে আপত্তি জানান তৃণমূল ও সিপিএমের সাংসদ যথাক্রমে ডেরেক ও’ব্রায়ান ও পি রাজীব। দুই সাংসদই সরকারকে অযথা তাড়াহুড়ো না করার জন্য আবেদন জানান। তাঁদের সমর্থন জানান কংগ্রেস ও জেডিইউয়ের সাংসদেরা। বিরোধীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সরকার। ঠিক হয় চলতি মাসে কেবল তিনটি বৈঠকই হবে।

এ দিকে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই বিমা বিল সংসদে পাশ করাতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। সেই কারণে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সংসদের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে চাইছেন চন্দনবাবু। কিন্তু সরকারের ওই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আজ বৈঠকের প্রথম দিন থেকেই তৎপর হন কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য আনন্দ শর্মাকে স্পষ্ট নির্দেশও দিয়ে রেখেছেন দলীয় সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। একই পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলও। তাই কৌশলগত ভাবেই কমিটির মেয়াদ দীর্ঘ করার জন্য আজ ওই বিল সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত সবাইকে কমিটির সামনে ডাকার প্রস্তাব দেন ডেরেক। মেনে নেন কমিটির চেয়ারম্যান। পরে ডেরেক বলেন, “নতুন বিমা বিলে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬% থেকে বাড়িয়ে ৪৯% করা হয়েছে। ওই বিলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাই বিলটির সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE