আপের বিক্ষোভ। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে গত তিন ধরেই রাজধানীর রাস্তায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল করছেন আপ নেতা-কর্মীরা। শুধু দিল্লি নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শনী করছেন তাঁরা। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে। এ বার দিল্লিতেই ‘মেগা র্যালি’র ডাক দিল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। রবিবার বিরোধী জোটের তরফে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়।
কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর এই প্রথম বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কোনও কর্মসূচির কথা জানাল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জোটের তরফে জানানো হয়, আগামী ৩১ মার্চ রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে একটি ‘মেগা র্যালি’র আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালকে যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানোর এবং বিরোধীদের নির্মূল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছেন। ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন হোক বা বিহারের তেজস্বী যাদব— সকলের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।’’
আপের অভিযোগ, তাদের প্রতিবাদ আটকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিকে একটি দুর্গে পরিণত করেছেন। দিল্লির মন্ত্রী গোপালের কথায়, ‘‘অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পরিবারকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। আপের সদর দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এখন দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই বিজেপি আমাদের বিভিন্ন ভাবে আচকানোর চেষ্টা করছে।’’ পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করা নিয়েও সরব হয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী।
আপের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিংহ লাভলী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘এটা কেমন গণতন্ত্র? আপনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করছেন, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী গণতন্ত্র বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কংগ্রেস লড়াই থেকে পিছপা হবেন না।’’
কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’ দাবি করে পথে নেমেছে আপ। রবিবারও তাদের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ‘ঘেরাও কর্মসূচি’ নিয়েছে আপ। কেজরীওয়ালের দলের তরফে বলা হয়, ‘‘আপের নেতা থেকে কর্মী, সকলকে আটকানো হচ্ছে। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারিতে সারা দেশ দুঃখিত এবং ক্রুদ্ধ। ২৫ মার্চ হোলির দিন, আমরা কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিতে অংশ নেব না। ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাও করব।’’ আরও দাবি করা হয়, ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা একজোট হতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। তারই ফল কেজরীর গ্রেফতারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy