রাতারাতি কোটিপতি শাহজেব পেল পরিবারও। ছবি: সংগৃহীত।
মসজিদে ভিক্ষা করত অনাথ কিশোর। মাথার উপর ছাদ পর্যন্ত ছিল না। রাতারাতি কোটিপতি ১০ বছরের ছেলেটি। পেল পরিবারও।
আদতে উত্তরপ্রদেশের সহারণপুরের বাসিন্দা ছিল শাহজেব আলম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অসময়ে মারা গিয়েছিলেন বাবা, মা। তার পর ১০ বছরের শাহজেবের ঠাঁই হয়েছিল রুরকির পিরন কলিয়ার মসজিদে।
দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০১৯ সালে মারা গিয়েছিলেন শাহজেবের বাবা। মৃত্যুর আগেই তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মা। শাহজেবকে সঙ্গে নিয়ে যমুনানগরে নিজের বাপের বাড়িতে উঠেছিলেন। পরে পিরান কলিয়ারে চলে যান শাহজেবের মা। সেখানে একটি কাজ নেন।
২০২১ সালে কোভিডে মৃত্যু হয় শাহজেবের মায়ের। অনাথ হয় ছেলেটি। পড়শিরা পিরান কলিয়ারে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তার পর থেকে শাহজেবের ঠিকানা হয় সেই সুফি সৌধ। সেখানে ভিক্ষা করে দিন কাটত ছেলেটির।
কিন্তু হঠাৎ এক দিন জীবনটা যে এ ভাবে বদলে যাবে, ভাবতেও পারেনি শাহজেব। ধারণাই ছিল না যে, মৃত্যুর আগে পিতামহ অগাধ সম্পত্তি রেখে যাবেন তাঁর নামে। শাহজেবের দাদু মহম্মদ ইয়াকুব প্রায় ২ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন মৃত ছেলে নাভেদের একমাত্র ছেলের নামে। মৃত্যুর আগেই দোতলা বাড়ি এবং পাঁচ বিঘা জমি নাতির নামে উইল করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে মৃত্যু হয় মহম্মদের। তার পর থেকেই খোঁজ শুরু হয় শাহজেবের।
ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছিল মহম্মদের পরিবার। শেষে রুরকির মসজিদে খোঁজ মেলে শাহজেবের। সহারণপুর থেকে এসে ছেলেটিকে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। শাহজেবের এক আত্মীয় শাহ আলম বলেন, ‘‘ছেলেটিকে পাওয়ার সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’’ শাহজেবের ছেলে নওয়াজ আলম বলেন, ‘‘আস্তে আস্তে ও আমাদের সঙ্গে মিশতে পারছে। তবে অনেক সময় লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy