ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই নির্যাতিতাকেই অপহরণ করলেন যুবক। উত্তরপ্রদেশের ভাদোহী জেলার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। তার পরই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন, ধর্ষণের মামলা না তুললে পরিণতি ভাল হবে না। শুধু তা-ই নয়, অভিযোগ, টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ারও প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত এবং তাঁর বাবা। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। এমনকি তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মামলা তুলবে না।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, প্রস্তাব না মানায় তাঁর কন্যাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর বাবা। নির্যাতিতার বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর কন্যাকে খুন করে ফেলা হবে। কন্যাকে অপহরণের পরই গোপীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা এবং দুই অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর নির্যাতিতাতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। নির্যাতিতাকে জানানো হয়, তার মায়ের শরীর খারাপ। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল নির্যাতিতা। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। স্কুল থেকে কিছুটা দূরে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় নির্যাতিতা। ২৮ ডিসেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গত জুনে জামিন হয় অভিযুক্তের। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, জেল থেকে ছাড়াও পাওয়ার পর থেকেই শাসাচ্ছিলেন যুবক।