প্রতীকী চিত্র।
পেঁচা, লক্ষ্মীর বাহন। আর কালীপুজোর দিন লক্ষ্মীপুজোও হয়। তাই দেবীর বাহনের সেদিন আদর পাওয়ার কথা। কিন্তু পাচ্ছে কই? বরং সেই দিনটাই প্রাণের ভয়ে কাটাতে হয় নিশাচর পাখিগুলিকে।
উত্তরাখণ্ডের জঙ্গল জুড়ে কালীপুজোর দিন পেঁচা ধরার ‘উৎসব’ চলে। কারণ, এই দিনটিকে তন্ত্র সাধনার বিশেষ দিন হিসাবে ধরা হয়। আর সাধনার অংশ হিসাবে প্রয়োজন হয় পেঁচার হাড়, নখ, চোখের মণি। তন্ত্রসাধকদের চাহিদা মেটাতে তাই জঙ্গল থেকে নানা প্রজাতির পেঁচা ধরে আনে চোরাশিকারিরা। কালা জাদুর জন্য তাদের বলি দেওয়া হয়।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানাচ্ছে, এ বছর পেঁচা বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে রাজ্যে প্রায় ২৪টি প্রজাতির পেঁচা মেলে। তাদের রক্ষা করতে এ বার জঙ্গলের বাইরে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য বন দফতর। যাতে চোরাশিকারিরা কোনও সুযোগ না পায়। উত্তরাখণ্ড রাজ্য জুড়ে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বন দফতরের সব কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার। বাড়াতে বলা হয়েছে নজরদারি।
আরও পড়ুন: ১৯-এ মেগা শো ঘোষণা শুভেন্দুর, ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ শোনালেন অখিল
বন দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘তান্ত্রিকরা কালীপুজোর দিন-রাতে পেঁচা নিয়ে সাধনা করেন। দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে এই তন্ত্র সাধনার রীতি রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, এর ফলে ধনদেবী তুষ্ট হয়ে তাঁদের সম্পদে ভরিয়ে দেবেন। সেই কারণেই কালীপুজোর আগে-পরে পেঁচা শিকার বেড়ে যায়।’’
আরও পড়ুন: বঙ্গের নীলবাড়ি দখলের যুদ্ধে ‘অমিত-শস্ত্র’ প্রয়োগ করলেন শাহ অমিত
বন দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জঙ্গল সংলগ্ন যে মন্দিরগুলি রয়েছে সেগুলির উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। পেঁচা পাচার রুখতে রাজ্যের সীমান্তে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy