Advertisement
১১ মে ২০২৪
Mukesh Ambani

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত গাড়ির মালিকের ‘মৃত্যু’, বাড়ল রহস্য

এই ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত এনআইএ-কে দিয়ে করানো উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি।

মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’-র অদূরে মানসুখ হীরেনের চুরি যাওয়া এই এসইউভি-টি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল।

মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’-র অদূরে মানসুখ হীরেনের চুরি যাওয়া এই এসইউভি-টি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১ ১৯:২৫
Share: Save:

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ভর্তি স্করপিও গাড়ির মালিক আত্মহত্যা করেছে দাবি করল মুম্বই পুলিশ। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মুম্বই পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার শহরের অদূরে একটি খাঁড়ি থেকে ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা রুজু করলেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, খাঁড়িতে ঝাঁপ দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে, এই ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত এনআইএ-কে দিয়ে করানো উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মানসুখ হীরেন। শুক্রবার ঠাণে পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “মুকেশ অম্বানীর বাড়ির বাইরে জিলেটিন-সহ মানসুখ হীরেন নামে যে ব্যক্তির গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল, তিনি কালওয়া খাঁড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।”

২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশের ২৭ তলা বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’-র থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মানসুখেরই চুরি যাওয়া একটি জলপাই রঙের স্করপিও এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিসিটি ভেহিকল) পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। গাড়ির ভিতর থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক ছাড়াও উদ্ধার হয়েছিল আরও কয়েকটি গাড়ির নম্বরপ্লেট। এ ছাড়া, ওই গাড়িতে মুকেশের উদ্দেশে একটি হুমকিভরা চিঠিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রথম দিকে জইশ-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন এর দায় নিলেও পরে তা অস্বীকার করে তারা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি মুম্বইয়ের শহরতলি বিখরোলির বাসিন্দা মানসুখের এবং তা চুরি গিয়েছিল। গাড়ির ভিতরের নম্বর প্লেটগুলির মধ্যে একটি মানসুখের গাড়ির ছিল। মুকেশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে একটি হুডি এবং মাস্কপরা ব্যক্তিকে ওই গাড়িটি রাখতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, মুকেশের বাড়িতে ওই গাড়িটি রাখার আগে তা গোটা শহর ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং তাকে একটি ইনোভা গাড়ি অনুসরণ করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা ওই গাড়িটিরও খোঁজ করছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া জিলেটিন স্টিকগুলি সাধারণত নির্মাণকাজে বা খনিতে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

মানসুখের রহস্যমৃত্যুর সঙ্গে মুকেশের বাড়ির ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মুকেশের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র উপর তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। শুক্রবার তিনি বলেন, “বিধানসভায় মানসুখ হীরেনের নিরাপত্তা নিয়ে দাবি করেছিলাম। কারণ, গোটা ঘটনায় প্রধান সংযোগকারী হওয়ায় তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে। এখন জানা যাচ্ছে যে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মামলাটাই ধোঁয়াটে হয়ে যাচ্ছে। এই মামলা এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE