Advertisement
E-Paper

দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের বহিষ্কৃত অফিসার দানিশই ছিলেন আইএসআই-এর চর? জ্যোতি-তদন্তে নয়া মোড়

সূত্রের খবর, পাক হাইকমিশনের এই আধিকারিকের আসল নাম আদৌ এহসান বা দানিশ, না কি তা আইএসআই-এর দেওয়া কোনও সাঙ্কেতিক নাম, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৫ ১৪:৪০
পাক হাইকমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে অভিযুক্ত ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা। ছবি: সংগৃহীত।

পাক হাইকমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে অভিযুক্ত ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতে পাক হাইকমিশনের আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশই ছিলেন আইএসআই-এর চর? সূত্র মারফত অন্তত তেমনই দাবি করা হচ্ছে। পহেলগাঁও কাণ্ডকে ঘিরে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতা চলছিল, সেই সময়েই দানিশকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।

সে সময় বিদেশ মন্ত্রক জানায়, পাক হাইকমিশনের ওই কর্তা ভারতে তাঁর কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। দিল্লির পাক শীর্ষ কূটনীতিককে (চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স) তলব করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নির্দেশিকাও (কূটনৈতিক পরিভাষায় ডিমার্শ) দেওয়া হয়। হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ এবং সেই সূত্র ধরে তদন্তে দানিশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। আর সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু হতেই দানিশের আইএসআই এজেন্টের পরিচয় উঠে এসেছে বলে সূত্রের দাবি।

সূত্রের খবর, ইসলামাবাদ থেকে দানিশের পাসপোর্ট তৈরি হয়েছিল। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি তাঁকে ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নারোওয়ালে জন্ম দানিশের। পাক হাইকমিশনের এই আধিকারিকের আসল নাম আদৌ এহসান বা দানিশ, না কি তা আইএসআই-এর দেওয়া কোনও সাঙ্কেতিক নাম, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের ভিসা ডেস্কে কর্মরত ছিলেন দানিশ। সূত্রের খবর, ভারতের নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করানোই ছিল তাঁর মূল কাজ।

ইউটিউবার জ্যোতিকে ফাঁদে ফেলে দানিশ তাঁকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করাতে বাধ্য করিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দানিশের সঙ্গে জ্যোতির কী কী কথোপকথন হয়েছিল, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার আগে দানিশের সঙ্গে আলাপ হয় জ্যোতির। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনে ভ্রমণ-ভিসার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেখান থেকেই তাঁদের দু’জনের আলাপ। তার পর থেকে দু’জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

পুরনো তথ্য বলছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের অফিস বসে চরবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের ৩১ মে দিল্লি পুলিশ এবং সেনা গোয়েন্দারা পাক হাইকমিশনের দুই আধিকারিককে আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের নাম আবিদ হুসেন এবং তাহির খান। সেই ঘটনার পর হাইকমিশনের কর্মীসংখ্যা ১৮০ থেকে কমিয়ে ৯০ করে পাকিস্তান।

Jyoti Malhotra Youtuber
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy