সীমা হায়দর এবং তাঁর স্বামী সচিন মীণা। ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশের ডাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও তাঁদের আবার বাড়ি থেকে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরায় প্রেমিক সচিন মীণার বাড়িতে আসার পর থেকেই টানা জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দরকে। শুধু সীমাই নন, সচিনকেও পুলিশের জেরার ঝক্কি সামলাতে হচ্ছে।
শুক্রবার তাঁদের দু’জনকে জেরার জন্য নিয়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস। জেরা করার পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। সচিনের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বার বার পুলিশের জেরার মুখে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সীমা। শনিবার সকালে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শুধু সীমাই নন, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সচিনও। এমনও দাবি করা হয়েছে। দু’জনের অসুস্থতার খবর পেয়েই তাঁদের আইনজীবী তড়িঘড়ি বাড়িতে পৌঁছন। সীমা-সচিনের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
গত ১৮ জুলাই এটিএস সীমা-সচিনকে ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করে। তার আগে ১৭ জুলাই নয়ডায় প্রথম জেরা করা হয় এই যুগলকে। ওই দিন সকালে নিয়ে গিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় ছাড়া হয় তাঁদের। সচিনের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, বার বার জেরার জন্য এটিএস তদন্তকারীদের কাছে হাজির হওয়া, টানা জেরা চলতে থাকা, সব মিলিয়ে সীমা-সচিন ক্লান্ত। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এত সহজে জেরা থেকে রেহাই না-ও পেতে পারেন এই যুগল। কারণ এমন অনেক তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে, যার উত্তরের খোঁজে সীমাকে জেরার পর্ব চলতে থাকবে।
সীমা পাকিস্তানের কোনও চর কি না, তার তদন্তই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটিএসের কাছে। যে কারণে তাঁর ঠিকুজি-কুষ্ঠি সব জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যদিও সীমা বার বারই দাবি করেছেন, তিনি চর নন। পাকিস্তানেও আর যেতে চান না। এ দেশের আইন তাঁকে যা সাজা দেবে, তাই-ই মাথা পেতে নেবেন। তার পরেও এ দেশেই তিনি থাকতে চান। যদিও সীমার সব দাবিই এখনও সন্দেহের আওতায়। তাই যত ক্ষণ না সেই সব রহস্যের হদিস না পাচ্ছেন তদন্তকারীরা তত ক্ষণ এই জেরার পর্ব চলবে বলে দাবি ওই সূত্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy