Advertisement
E-Paper

দুই ভারতীয় জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদে পাক সেনা কাঠগড়ায়

রক্তের রেখা চলে গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। সেই রক্তের দাগ আর নিহত দুই ভারতীয় জওয়ানের রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর আঙুলটা যে পাক সেনার দিকেই উঠছে, পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিতকে ডেকে আজ তা সাফ জানিয়ে দিল ভারত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০৩:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রক্তের রেখা চলে গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। সেই রক্তের দাগ আর নিহত দুই ভারতীয় জওয়ানের রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর আঙুলটা যে পাক সেনার দিকেই উঠছে, পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিতকে ডেকে আজ তা সাফ জানিয়ে দিল ভারত।

কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে দু’দিন আগে নিহত দুই জওয়ানেরই দেহ ছিল মুণ্ডহীন। সেনা সূত্রের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চলে যাওয়া রক্তের ফোঁটা দেখে মনে হচ্ছে, কিছু না কিছু থেকে তা চুঁইয়ে পড়েছে। বসিতকে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, সভ্যতার সীমা ছাড়িয়েছে এই ঘটনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির বক্তব্য, ‘‘এতে পাক সেনার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ‘কভার’ দিচ্ছিল তারা। পাক সেনার মদত না থাকলে এ ভাবে হামলা চালিয়ে পালানো অসম্ভব।’’

গত কাল ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কম্যান্ড বলেছিল, নেপথ্যে পাক সেনার মদত থাকলেও ওই হামলা চালিয়েছে লস্কর জঙ্গিরা। কিন্তু আজ সরাসরি পাক সেনাকেই দুষেছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল ওয়াগলে বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে পোক্ত প্রমাণ রয়েছে। তা পাক হাইকমিশনারকে দিয়েছি।’’

আরও পড়ুন: বাবার মাথা কই, হাহাকার শহিদের মেয়ের

আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই হামলা-সহ কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বসিতকে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর ডেকে পাঠিয়েছিলেন সকালে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘নিহতদের রক্তের নমুনা এবং হত্যাকারীদের ফিরে যাওয়ার নিশানা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে পাক সেনাই।’’ পরে টুইটারেও তিনি লেখেন, এই ঘটনায় জড়িত পাক সেনার কম্যান্ডার ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দিল্লি। পাক হাইকমিশনারের অবশ্য দাবি, এতে পাক সেনার কোনও হাত নেই। উল্টে ভারত কোনও ‘হঠকারী অভিযান’ করলে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাক সেনা।

পঠানকোট এবং উরি হামলার পর কূটনৈতিক সক্রিয়তার মাধ্যমে ইসলামাবাদের সার্ক সম্মেলন পণ্ড করে দিয়েছিল ভারত।
তার পর ব্রিকস সম্মেলনকে পাক-বিরোধী মঞ্চ করে তোলার উদ্যোগে সাফল্য আসেনি। এ বার কী করবে দিল্লি? ওয়াগলের কথায়, ‘‘উরির পর গোটা বিশ্ব মেনে নিয়েছে, ভারত সীমান্তপারের সন্ত্রাসের শিকার। আপাতত আমাদের বক্তব্য ইসলামাবাদকে জানিয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ ক্রমশ স্থির করা হবে।’’

LOC Pak soldiers Behead Army
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy