মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদ পাকিস্তানের নাগরিক এবং তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রমাণ নেই বলে দাবি করলেন পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। ভারতীয় সাংবাদিক বেদপ্রতাপ বৈদিকের সঙ্গে হাফিজের সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। হাইকমিশনার বাসিত আজ এক অনুষ্ঠানে হাফিজ-বৈদিক বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, “বৈদিক এক জন ভারতীয় নাগরিক এবং হাফিজ সইদ পাক নাগরিক। দুই স্বাধীন নাগরিকের মধ্যে বৈঠক নিয়ে সরকারের কিছু করার থাকতে পারে না।”
মুম্বই হামলার সঙ্গে হাফিজের যোগ নিয়ে পাক সরকারকে দফায় দফায় তথ্য দিয়েছে ভারত। হাফিজ নিজেও লাহৌরে বিভিন্ন জনসভায় তীব্র ভারত-বিরোধী জঙ্গি বক্তৃতা দিয়েছে, যার ভিডিও ফুটেজও সহজলভ্য। আমেরিকাও এই জঙ্গি নেতার জন্য মাথার দাম ঠিক করেছে। তার পরেও তাকে কী ভাবে পাকিস্তানের স্বাধীন নাগরিক বলা যেতে পারে? বাসিতের জবাব, “হাফিজের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” একই সঙ্গে তিন বলেন, “কোনও দেশকে খুশি করার জন্য আমরা আমাদের নাগরিককে জেলে ভরতে পারি না।” বাসিতের এমন মন্তব্যে অনেকেই বিস্মিত।
বাসিত এ দিন শুধু হাফিজের সমর্থনে মুখ খোলেননি, দু’দেশের বকেয়া বিষয়গুলি নিয়েও সরব হন। মে মাসে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার পরে নতুন করে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। মোদী-নওয়াজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশসচিব পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হবে। সেই বৈঠক কবে হবে, তার দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। বাসিত জানান, শীঘ্রই বৈঠক করার জন্য চেষ্টা চলছে। আগামী ২৪ জুলাই ভুটানে সার্ক-এর বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মুখোমুখি হবেন ভারত ও পাক বাণিজ্যমন্ত্রী। সেখানে পাকিস্তানের তরফে ভারতকে ‘সব থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ মর্যাদা দেওয়ার বকেয়া বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। বাসিতের ইঙ্গিত, বিষয়টি ইতিবাচক ভঙ্গিতেই দেখছে ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লিও যে উৎসাহী, তা প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy