দশমের বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হলেই স্কুল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির নামী স্কুলের পড়ুয়া শৌর্য পাটিলের অভিভাবকেরা। তাঁর বাবা প্রদীপ পাটিল বলেন, ‘‘ছেলেকে বলেছিলাম, আর কয়েকটা মাস অপেক্ষা কর, আমি তোকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাব। সব ঠিক করেও ফেলেছিলাম। পরীক্ষার পরে চিনে আমাদের সকলের ঘুরতে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। শৌর্য বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎসাহী ছিল। কিন্তু তার আগেই কী যে ঘটে গেল!’’ এক সংবাদসংস্থাকে এ কথা বলতে বলতে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল প্রদীপের।
অন্য দিনের মতো বুধবারও স্কুলে গিয়েছিল শৌর্য। স্কুলে নাচের মহড়া ছিল। কিন্তু শৌর্যের গোড়ালি মচকে যাওয়ায় মহড়া দিতে চায়নি। কিন্তু অভিযোগ, শৌর্যের কোনও আর্জিই কানে তোলেননি শিক্ষকেরা। উল্টে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়। এক আত্মীয় বলেন, ‘‘শৌর্য স্কুলের পিছন গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার পরই খবর পাই মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দিয়েছে।’’ শৌর্যের স্কুলব্যাগ থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। ওই আত্মীয়ের দাবি, চিঠিতে লেখা ছিল, ‘‘স্কুলের কর্মী এবং শিক্ষকেরা আমার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। আমার শেষ ইচ্ছা, যাঁরা এই কাজ করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ো, যাতে অন্য কোনও পড়ুয়া আমার মতো এ ভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে না পারে। কিন্তু আমি পারলাম না। শিক্ষকেরা আমাকে এ কাজ করিয়েই ছাড়লেন।’’
আরও পড়ুন:
শৌর্যের সহপাঠীদের অভিযোগ, ‘‘এই প্রথম নয়, দীর্ঘ দিন ধরে শৌর্যকে ছোট ছোট বিষয়ে হেনস্থা করা হচ্ছিল। ওকে টার্গেট করা হয়েছিল।’’ এমনই অভিযোগ শৌর্যের অভিভাবকদেরও। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শৌর্য রাজেন্দ্রনগর প্লেস মেট্রো স্টেশনে এক মহিলার সঙ্গে কথা বলছে। তার পর সে ব্যাগটা একটা জায়গায় রাখে। স্টেশনের এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলে। আড়াই মিনিট ধরে স্টেশনে পায়চারি করে। তার পর ঝাঁপ দেয়।