আর্থিক প্রতারণায় শিকার ব্যক্তিদের তিন দিনের মধ্যে টাকা ফেরাতে ব্যাঙ্কগুলিকে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি, ওটিপি-র উপর ভিত্তি করে যে প্রতারণা হয় সেগুলি বন্ধ করতে ‘ওটিপি কাউকে না জানানোর বিষয়ে’ আরও বেশি প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাইবার ক্ষেত্রে আর্থিক অপরাধ কী ভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে আজ আলোচনায় বসেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যাঙ্কগুলিকে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রশ্নে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, যে সব গ্রাহকদের টাকা খোয়া যাচ্ছে, তাঁদের অর্থ তিন দিনের মধ্যে ফেরানোর পরার্মশ দেন কমিটির সদস্যরা। সূত্রের মতে, ব্যাঙ্কগুলির তরফে বলা হয়েছে, যদি ব্যাঙ্ক থেকে ব্যাঙ্কে লেনদেন হয় এবং অভিযোগ আসার পরে যদি দেখা যায় টাকা চক্রীদের অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে, তবে ব্যাঙ্ক তা আটকাতে সক্ষম এবং নির্দিষ্ট সময়ে সে ক্ষেত্রে টাকা ফেরৎ দিতেও সক্ষম ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু চক্রীরা যদি টাকা তুলে নেয়, তা হলে ব্যাঙ্কের কিছু করণীয় নেই। তেমনি প্রতারণার শিকার ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে দুষ্কৃতীরা টাকা যদি কোনও ওয়ালেটে (ওলা, সুইগি) পাঠিয়ে দেয়, তবে ব্যাঙ্কের পক্ষে তা উদ্ধার অসম্ভব। সেই পরিস্থিতিতে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার যে প্রয়োজন।
সাইবার মাধ্যমে আর্থিক কারচুপি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওটিপি-র মাধ্যমে হয়। তাই আমজনতা যাতে ওটিপি কোনও ভাবেই অচেনা ব্যক্তিকে না জানান, তা বেশি করে প্রচার চালানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুন দেশের সব ব্যাঙ্ককে আর্থিক প্রতারণা ঝুঁকি সূচক-এর ব্যবহার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যে নম্বরগুলি থেকে প্রতারণা হয়, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই নম্বরগুলি থেকে কোনও লেনদেন হলে সেই লেনদেন যেখান থেকে হয়েছে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে লেনদেন খতিয়ে দেখা, প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লেনদেনের রাশি ‘ব্লক’ করতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি। যাতে প্রতারণা হওয়া অর্থের লেনদেন রোখা সম্ভব হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)