Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

রুট নেই তাও ট্রেনের টিকিট দিয়ে খেসারত

অনেকদিন আগেই রুট পরিবর্তন হয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনটির। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি করায় রেল কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত। খড়্গপুর থেকে পুরী পর্যন্ত উৎকল কলিঙ্গ এক্সপ্রেসের একটি সংরক্ষিত টিকিট কেটেছিলেন ইছাপুরের বাসিন্দা সুশান্তকুমার সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৫ ১৮:১৮
Share: Save:

অনেকদিন আগেই রুট পরিবর্তন হয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনটির। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি করায় রেল কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত।

খড়্গপুর থেকে পুরী পর্যন্ত উৎকল কলিঙ্গ এক্সপ্রেসের একটি সংরক্ষিত টিকিট কেটেছিলেন ইছাপুরের বাসিন্দা সুশান্তকুমার সাহা। ওই টিকিট কেটেছিলেন ব্যারাকপুরের রেলেরই বুকিং কাউন্টার থেকে। কিন্তু যাওয়ার দিন খড়্গপুরে গিয়ে শোনেন, ট্রেনটি অনেকদিন আগেই খড়্গপুর দিয়ে আর চলাচল করছে না। ট্রেন না পেয়ে ওই দিন তাঁকে যথেষ্ট দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এর পরেই তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ত্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। সেখানে রেলকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ওই মামলা জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি রেলের ওই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ই বহাল থাকল।

ওই যাত্রী নিজেও পেশায় আইনজীবী। অনুমতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও তিনি নিজেই নিজের মামলা সওয়াল করেছেন। সুশান্তবাবু জানান, ২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুরের টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে উৎকল কলিঙ্গ এক্সপ্রেসে খড়্গপুর থেকে পুরী পর্যন্ত একটি সংরক্ষিত টকিটি কেটেছিলেন। তাঁর যাওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের ১১ তারিখ।

সুশান্তবাবুর আরও বক্তব্য, যাওয়ার দিন সকালেও তিনি রেলের ১৩৯ নম্বরে ফোন করে জানতে চান, ট্রেন ঠিকমতো চলছে কিনা। তখনও তাঁকে খড়্গপুর দিয়ে যে ট্রেনটি চলছে না তা জানানো হয়নি। উল্টে বলা হয়, তিনি যেন সঠিক সময়ে খড়্গপুরে চলে যান। তিনি হাওড়া অনুসন্ধানেও জানতে চান। সেখান থেকেও রুট পরির্বতনের কথা বলা হয়নি।

এরপরে খড়্গপুরে গিয়ে সুশান্তবাবু জানতে পারেন, ট্রেনটি অনেক দিন আগেই ওই রুট পরিবর্তন করে অন্যরুট দিয়ে যাওয়াআসা করছে। ফলে সেদিন তিনি চুড়ান্ত ভাবে মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হন। এরপরে অন্য একটি ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় কোনও মতে উঠে প্রায় দাঁড়িয়ে তিনি পুরী পৌঁছন। ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেন।

সুশান্তবাবু যেখান থেকে টিকিট কিনেছিলেন সেটি পূর্ব রেলের অধীন। আর যে ট্রেনটির টিকিট কিনেছিলেন সেটি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। সুপ্রিমকোর্টের ওই নির্দেশ রেলের হাতে এসে পৌঁছয়নি। ফলে নির্দেশে ঠিক কী বলেছে আদালত সে ব্যাপারে রেল কর্তারা কিছু বলতে চাননি। তবে আদালত যা নির্দেশ দেবে সেটাই মানতে হবে জানিয়ে দিয়েছে রেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE