Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Crime

বেশি রোজগার করেন, তাই ভাইয়ের বউকে খুন!

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে রামশঙ্কর। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কলাবতীকে বহু দিন ধরেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল সে। কিন্তু কথা না শোনায় পরিবারের সম্মান রক্ষায় ভাইয়ের স্ত্রীকে খুন করারই সিদ্ধান্ত নেয়। মাথা ও দু’হাত কেটে তাঁকে কুপিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করেছে রাম।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ১৪:৪০
Share: Save:

পরিবারের মেয়েদের থাকতে হবে ঘোমটার আড়ালেই। বাইরে চাকরি করতে যাওয়া মানেই পরিবারের সম্মানহানি। এমনই ধারণা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভাইয়ের স্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছিল ভাসুর রামশঙ্কর। কিন্তু সে কথায় বিশেষ পাত্তা দেননি বছর একত্রিশের কলাবতী। রামশঙ্করের আপত্তি ছিল কলাবতীর স্বাধীন জীবনযাপন এবং বেশি রোজগার নিয়েও। হুমকিতে কাজ না দেওয়ায় কলাবতীর মাথা, হাত কেটে তাঁকে খুন করল রামশঙ্কর। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে সে।

আরও পড়ুন: বেঞ্চে পিরিয়ডসের রক্ত, বার করে দিলেন শিক্ষিকা, আত্মঘাতী ছাত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে রামশঙ্কর। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কলাবতীকে বহু দিন ধরেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল সে। কিন্তু কথা না শোনায় পরিবারের সম্মান রক্ষায় ভাইয়ের স্ত্রীকে খুন করারই সিদ্ধান্ত নেয়। মাথা ও দু’হাত কেটে তাঁকে কুপিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করেছে রাম। তার পর কেটে ফেলা অঙ্গ এবং খুনের অস্ত্র শাড়িতে মুড়িয়ে একটি চলন্ত টেম্পোতে ছুঁড়ে দেয়। সম্প্রতি দিল্লির রোহিনী সেক্টর ২৪-এ একটি পার্ক থেকে মাথা এবং কেটে ফেলা হাত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডান হাতের উপর আঁকা একটি ফুলের ট্যাটু দেখে কলাবতীর দেহ শনাক্ত করেছে তাঁর বড় মেয়ে সঞ্জনা। দেহের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ক্যামেরায় ধরা পড়ল, ওটিতে ঝগড়া করলেন ডাক্তাররা, মৃত্যু হল শিশুর

কলাবতী এবং তাঁর স্বামী ফুজিলাল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বছর দু’য়েক আগে তিন মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ইলাহাবাদের চিত্রকূট থেকে তাঁরা দিল্লিতে এসে বসবাস শুরু করেন। উত্তরপ্রদেশের গ্রামেও কলাবতীর একটি কসমেটিক্সের দোকান ছিল। দিল্লিতে একটি কারখানায় কাজ শুরু করেন তিনি। ফুজি লাল ই-রিকশা চালানোর কাজ পান। রামশঙ্করের বাড়ি ছিল তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি। মেয়ে সঞ্জনার কথায়, ‘‘মা চাকরি করত বলে বড়ে পাপা আমাদের হিংসা করতেন। আমাদের রোজগারও বেশি ছিল। মাকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল বড়ে পাপা। কিন্তু মা তা দিতে চায়নি। আমার কাছে মা কান্নাকাটি করত। ’’ তাঁদের পরিবারের সব বিষয়েই রামশঙ্কর নাক গলাত বলে জানিয়েছে সঞ্জনা। শুক্রবার রাতে কলাবতী কাজ থেকে বাড়ি না ফেরায় পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE