বিহারের পটনায় ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার পটনার গুলবি ঘাটে গোপাল খেমকা নামের ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য হয়। শ্মশানে ভিড় উপচে পড়ে। হত ব্যবসায়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন পটনার বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ীও। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার শেষকৃত্যে মালা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সন্দেহভাজন যুবক। সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক যুবকের নাম রোশন কুমার। তিনি পটনার পুনপুন এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পটনার অভিজাত এলাকা, গান্ধী ময়দানের সংলগ্ন পানাচে হোটেলের কাছে ‘টুইন টাওয়ার’ সোসাইটিতে থাকতেন গোপাল। শুক্রবার রাতে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ির কাছে এসে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলি করা হয়। গুলি করেই আততায়ী পালিয়ে যায়। লুটিয়ে পড়েন গোপাল। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই গোপালের মৃত্যু হয়। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল, আবাসন-সহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গোপাল। রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে অন্তত তিন জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন ঘাতক। অপর দু’জন সহযোগী। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত ব্যবসায়ী গোপাল শুক্রবার রাতে পটনার বাঁকিপুর ক্লাব থেকে বেরোনোর পর থেকেই তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন এক জন। অপর জন অপেক্ষা করছিলেন ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে। ঘাতক ব্যক্তিও কাছেপিঠে কোথাও লুকিয়ে ছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। বাকি দু’জন সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই গুলি চালান আততায়ী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পটনার গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।