Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
caste census

বিহারে জাতগণনায় স্থগিতাদেশ! পটনা হাই কোর্টে ধাক্কা খেয়ে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিহার সরকারের জাতগণনার পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন আবেদনকারীদের।

Patna High Court stays caste survey being conducted by Bihar government of CM Nitish Kumar

বিহারে জাত ভিত্তিক গণনায় স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৬:০৮
Share: Save:

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারের জাতভিত্তিক গণনা কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল পটনা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি করে হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘‘এমন জাতভিত্তিক গণনার অধিকার শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে।’’ হাই কোর্টের রায়ের পর নীতীশ বলেন, ‘‘জাতভিত্তিক গণনার কাজ হলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিগুলির সুবিধা হত।’’

লোকসভা ভোটের আগে অনগ্রসর (ওবিসি) ভোটের লক্ষ্যে জেডি (ইউ) সভাপতি নীতীশ এবং তাঁর সহযোগী আরজেডির নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জাতভিত্তিক গণনার দাবিতে আরও সুর চড়াবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে জাতগণনা হলেই ওবিসিদের আসল সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে।

গত নভেম্বরে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। বিহারে দ্রুত জেডি (ইউ)-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার শুরু করে জাতগণনা। বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই গত ৬ জুন নীতীশ সরকার জাতগণনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল।

এর পর বিহার সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল পটনা হাই কোর্টে। আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল, নীতীশ সরকারের এই পদক্ষেপ ‘বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক’। এই পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের। বিহারে জাতগণনার প্রথম পর্ব ৭ থেকে ২১ জানুয়ারি হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্ব ১৫ মে পর্যন্ত চলার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাই কোর্ট।

ওবিসিদের জন্য এখন ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ওবিসিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাভাবিক ভাবেই তখন ওবিসিদের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণের দাবি উঠবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অসংরক্ষিত (জেনারেল) আসন আরও কমার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে মেধার উপর আঘাত আসবে বলে অভিযোগ জাতগণনার বিরোধীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE