শপথগ্রহণের পর পেমা খান্ডু ও তার মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা।— নিজস্ব চিত্র।
বাবা প্রয়াত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুর নামাঙ্কিত প্রেক্ষাগৃহে অরুণাচলের প্রথম নির্বাচিত বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পেমা খান্ডু। অরুণাচলের দশম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেমাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বি ডি মিশ্র।
গত এক দশকে বছরে বিস্তর রাজনৈতিক উত্থানপতনের সাক্ষী ইটানগর। এক সময় কংগ্রেস দূর্গ হিসেবে পরিচিত অরুণাচলে ২০১১ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুর মৃত্যুর পরে অশান্তির শুরু। প্রথমে জারবম গামলিন মুখ্যমন্ত্রী হন। কংগ্রেসে শুরু হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। গামলিনকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন নাবাম টুকি। ২০১৪ সালের ভোটে কংগ্রেস ৪২ আসনে জিতলে টুকি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু কালিখো পুলের নেতৃত্বে পেমা-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁকে সরিয়ে সরকার গড়েন। মামলা আদালতে গড়ায়। রাষ্ট্রপতি শাসনে টুকি ক্ষমতা ফিরে পেলেও পেমার নেতৃত্বে অধিকাংশ বিধায়ক দলবদল করে আঞ্চলিক দল পিপিএর সরকার গড়ে। পরে তাঁরা ফের দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিলে অরুণাচল দ্বিতীয়বার বিজেপির হাতে আসে। অতীতে দলবদলের জেরে কিছুদিনের জন্য রাজ্যে গেগং আপাংয়ের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার এসেছিল।
এবারে ভোটের আগে রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ ছিল। বুদ্ধিমান পেমা এবং তাঁর পিছনে মূল চালিকাশক্তি নেডা চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা ঝুঁকি নিয়ে হলেও পেমার নেতৃত্বের পক্ষে বিপজ্জনক বিধায়ক, মন্ত্রীদের একে একে কোনঠাসা করে ফেলেন। অনেককে টিকিট দেওয়া হয়নি। আজ পেমার সঙ্গে ১২ সদস্যের মন্ত্রীসভার সদস্যরাও শপথ নেন। চাওনা মেইনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী রাখলেও পুরনো মুখদের অনেককেই বাদ দিয়েছেন পেমা। পাঁচজন নতুন মুখ এনেছেন। এমনকী টাবা টেডির ও নাপাক নালোর মতো প্রথমবার বিধায়কদেরও মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন তিনি। শপথ গ্রহণে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা পশ্চিম অরুণাচলে জয়ী সাংসদ কিরেণ রিজিজু, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
আরও পড়ুন: মোদীর শপথ ঘিরে রাইসনা হিলসে সাজ সাজ রব, যাচ্ছেন সনিয়া-রাহুল
শপথ গ্রহণের পরে খান্ডু বলেন, “অরুণাচলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতিসাধন ও বেকারত্ব দূর করাই সরকারের প্রথম লক্ষ্য হবে। বাইরে থেকে বিনিয়োগ আনতে চাই। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার চালাতে আমি বদ্ধপরিকর।”
আরও পড়ুন: অসুস্থতার জন্য মন্ত্রিসভায় থাকতে পারবেন না, মোদীকে চিঠি লিখে জানালেন জেটলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy