নতুন মন্ত্রিসভায় থাকতে চান না, মোদীকে চিঠি জেটলির। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
মৌখিক ভাবে আগেই জানিয়েছিলেন। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে নরেন্দ্র মোদীকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলেন, নতুন সরকারে আর কোনও দায়িত্বই নিতে পারবেন না তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে যে এই সিদ্ধান্ত, তা নিজের চিঠিতে বুধবার লিখে জানিয়েছেন অরুণ জেটলি। আগামিকাল বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিচ্ছেন মোদী।
ওই চিঠির একটি কপি টুইটারে পোস্ট করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তবে সরকারি ভাবে না হলেও তিনি যে সরকারের কাজে সব সময় সাহায্য করবেন, সে কথাও জানিয়েছেন ৬৬ বছরের জেটলি। তিনি লিখেছেন, ‘‘গত প্রায় দেড় বছর ধরে স্বাস্থ্যজনিত গুরুতর সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। নিজের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার জন্য আমাকে সময় দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সে কারণেই নতুন সরকারে আর কোনও দায়িত্ব নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, জেটলির আবেদন আগে থেকেই বিবেচনা করে তাঁকে মন্ত্রিসভার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত ছিল। জেটলির চিঠির পর সেই সিদ্ধান্তে কার্যত সিলমোহর পড়ল। অর্থাৎ দ্বিতীয় মোদী সরকারে আর মন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে না জেটলিকে।
দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে তাঁর। ডায়াবিটিসের সমস্যাও রয়েছে তাঁর। অসুস্থতার কারণে লোকসভা ভোটের আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজেটও পেশ করতে পারেননি তিনি। তাঁর জায়গায় বাজেট পেশ করেন পীযূষ গয়াল। সেই সময় আমেরিকায় জেটলির চিকিৎসা চলছিল।
I have today written a letter to the Hon’ble Prime Minister, a copy of which I am releasing: pic.twitter.com/8GyVNDcpU7
— Arun Jaitley (@arunjaitley) May 29, 2019
আরও পডু়ন: ‘শহিদ’ পরিবারদের আমন্ত্রণের বিরোধিতায় সিদ্ধান্ত বদল, মোদীর শপথে যাচ্ছেন না মমতা
আরও পড়ুন: শুধু সাইরেন বাজিয়ে ঘুরে বেড়ালে যা হওয়ার তাই হয়েছে, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সব্যসাচীর
দেশে ফেরার পর ফের দায়িত্ব নিলেও মাঝে মধ্যেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের প্রচারেও তাঁকে সে ভাবে দেখা যায়নি। এমনকি, গত দু’সপ্তাহ তাঁকে দেখা যায়নি জনসমক্ষেও। জেটলি নিজেই এ দিন লিখেছেন, সাত দফা ভোটগ্রহণ শেষে মোদী যখন কেদারনাথ-বদ্রীনাথ সফরে যান, তখনই তিনি মোদীকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। বুধবার সে কথাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিলেন।
মোদী এবং অমিত শাহের পরেই বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন জেটলি। সরকার এবং দলের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে জেটলিকে। অসুস্থ হলেও দল এবং সরকারের কাজে প্রয়োজনে তিনি যে সব সময়ই এগিয়ে আসবেন, সে কথাও এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy