প্রতীকী ছবি
অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আবাস বদলাচ্ছে অতিথিশালায়।
নীতি বিহারের ‘অভিশপ্ত বাংলো’য় থাকতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে থেকে একের পর এক মুখ্যমন্ত্রী কুর্সি হারিয়েছেন। মারা গিয়েছেন তিন জন। ওই বাড়ির শুদ্ধিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নীতি বিহারে দোতলা মুখ্যমন্ত্রী আবাস তৈরি করিয়েছিলেন পেমার বাবা, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডু। ২০০৯ সালে বাংলো তৈরির কাজ শেষ হয়। ২০০৯ সালে দলাই লামার আশীর্বাদ নিয়ে ওই বাড়িতে ঢোকেন দোর্জি। ২০১১ সালে তাওয়াংয়ের কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওই বাড়িতে আসেন জারবম গামলিন। তাঁরও ক্ষমতা চলে যায়। কিছু দিন পরে মারা যান তিনি। ক্ষমতা পান নাবাম টুকি। আচমকা বিদ্রোহ হয় দলে। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে থাকতে যান কালিখো পুল। তিনি আত্মঘাতী হন ওই বাড়িতেই। কিছু দিন পর সেখানে আত্মঘাতী হন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আবাসের বাস্তু যাচাই করতে গুয়াহাটির বাস্তু বিশেষজ্ঞ রাজকুমার ঝাঞ্ঝরিকে তলব করেছিলেন নাবাম টুকি। রাজকুমার জানিয়েছিলেন, ওই বাড়ির বাস্তুতে বড় দোষ রয়েছে। ওই কথা জানার পর মুখ্যমন্ত্রী আবাসের বেশ কিছু অংশ অদল-বদল করান টুকি। তাতেও ক্ষমতায় টিঁকতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পেমাও শান্তি পাচ্ছেন না। একের পর এক রাজনৈতিক জটিলতা চলছে। অবশেষে পেমা জানিয়ে দিলেন, ওই বাড়িতে তিনি থাকবেন না। বাড়িটিকে সংগ্রহশালা বা অন্য সরকারি ভবন করে দেওয়া হবে। তিনি আপাতত নিজের বাড়িতেই থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy