Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
Flash flood

Flash Flood: হড়পা বানে তিন জনের মৃত্যু, ভেসে গেলেন ৩০ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে জলের নীচে মুখ্যমন্ত্রী জগনের জেলা

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির জেলা কারাপ্পা। জেলার পেনে নদীর উপনদী ছেয়েরুতে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল সেচ প্রকল্পের জন্য।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বিশাখাপত্তনম শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৪:০২
Share: Save:

স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর জেলাতেই বাঁধের নিয়ম লঙ্ঘন। আর তার গুনাগার দিতে হল সাধারণ মানুষকে। শুক্রবার অন্ধ্রের কারাপ্পা জেলায় একটি উপনদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হল তিনজনের। নদী বাঁধের নির্মাণে অনিয়মের কারণে বাঁধ উপচে আচমকাই জল বইতে শুরু করে। সেই জলের তোড়ে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।

Advertisement

কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে ছেয়েরু উপনদীর তীরে নন্দালুরুর শিব মন্দিরে ভিড় করেছিলেন জনতা। শুক্রবার আচমকাই সেই পুণ্যার্থীরা হড়পা বানের মুখে পড়েন। পরে নন্দালুরুতে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির জেলা কারাপ্পা। জেলার পেনে নদীর উপনদী ছেয়েরুতে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল আন্নামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য। সেই বাঁধের নির্মাণগত কিছু ত্রুটি এবং বেশ কিছু অনিয়মই এই হড়পা বান এবং তা থেকে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জন্য প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য অন্ধ্রপ্রদেশে-সহ তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতেও বন্যার সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় জল কমিশন সতর্ক করেছিল বাঁধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকেও। জলের বিপদসীমার উপর নজরদারি করতে বলার পাশাপাশি বাঁধের জল ছাড়ার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটল কারাপ্পায়।

Advertisement

সতর্কতা সত্ত্বেও শুক্রবার নদীর জল বাঁধ উপচে বইতে শুরু করে। তাতে ভেসে যায় ছেয়েরু সংলগ্ন বহু গ্রাম। এমনকি শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দালুরুর স্বামী আনন্দ মন্দির চত্বরও জলে ডুবে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.