Advertisement
E-Paper

ডেরার একান্ত নিজস্ব, সমান্তরাল মুদ্রা ব্যবস্থা!

বাতিল নোট জমা করার তাড়া নেই। নতুন নোটও কেমন যেন ফেলে-ছড়িয়ে রাখা। মূল্যবান যেন শুধু ওই প্লাস্টিকের কয়েনগুলোই! যা ডেরা প্রধানের একান্ত নিজস্ব, সমান্তরাল এক মুদ্রা ব্যবস্থা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৫
ডেরায় এই প্লাস্টিক মুদ্রার মাধ্যমেই চলত বিকিকিনি।—ফাইল চিত্র।

ডেরায় এই প্লাস্টিক মুদ্রার মাধ্যমেই চলত বিকিকিনি।—ফাইল চিত্র।

দেখতে অবিকল খেলনার মতো। কিন্তু ছেলেখেলা নয় একেবারেই! ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাত যে গুরমিত রাম রহিম সিংহের সিরসার সাম্রাজ্য পর্যন্ত পৌঁছয়নি, তা আজ ফের প্রমাণ হয়ে গেল হাতেনাতে।

বাতিল নোট জমা করার তাড়া নেই। নতুন নোটও কেমন যেন ফেলে-ছড়িয়ে রাখা। মূল্যবান যেন শুধু ওই প্লাস্টিকের কয়েনগুলোই! যা ডেরা প্রধানের একান্ত নিজস্ব, সমান্তরাল এক মুদ্রা ব্যবস্থা। ডেরার সদর দফতরে আজ থেকে শুরু হওয়া পুরোদস্তুর তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে নীল এবং কমলা এমনই কিছু মুদ্রা হাতে এসেছে পুলিশের। বাইরে যার মূল্য নেই। কিন্তু পুলিশের দাবি, ৭০০ একরের আশ্রমে এ সবেই দিব্যি চলত বেচাকেনা। ১ টাকার কয়েনের রং নীল, ১০ টাকাগুলো কমলায়। দু’টিতেই খোদাই করে লেখা— ‘ধন ধন সতগুরু তেরা হি আসারা, ডেরা সচ্চা সৌদা সিরসা।’

আরও পড়ুন:গৌরী খুনে মাওবাদী! তত্ত্ব দিলেন মন্ত্রী রবিশঙ্করও

জোড়া ধর্ষণ কাণ্ডে গুরমিত জেলে যাওয়ার পরে পুলিশের সঙ্গে বার কয়েক ডেরার সদর দফতরে ঢুকেছে সংবাদমাধ্যম। ‘নকল’ আইফেল টাওয়ার থেকে শুরু করে তাজমহল, ডিজনিল্যান্ড, ঝাঁ চকচকে সাততারা হোটেল, মাল্টিপ্লেক্স, কৃষিজমি দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল পুলিশের। গুরমিতের নিজস্ব খুচরো-ব্যবস্থার কথা আগেও শোনা গিয়েছিল। কয়েক জন ভক্ত বলেছিলেন, আশ্রমের ভেতরের দোকানপাটে বৈধ নোট দিয়ে কেনাবেচা করতে গেলেও ফেরত পয়সা হিসেবে দেওয়া হতো প্লাস্টিকের ওই কয়েন। আজ সেই নকল মুদ্রা হাতে নিয়ে বিস্ময় আরও বাড়ল পুলিশের।

Plastic Currency Dera Sacha Sauda Gurmeet Ram Rahim Singh প্লাস্টিক
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy