মা অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী। মাসিক আয় সাড়ে তিন হাজার। বাবা পক্ষাঘাতে সাত বছর শয্যাশায়ী। মা আর দাদা মণিকান্তের রোজগারেই চলে সংসার। বিহারের বেগুসরাই জেলার এই পরিবারের ছেলে জেএনইউ-র ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারের পরে তাঁর মা মীনাদেবীর কাতর আর্তি, ‘‘দয়া করে আমার ছেলেকে সন্ত্রাসবাদী বলবেন না।’’
প্রতিবেশীর বাড়ির টিভিতে কানহাইয়ার গ্রেফতার সম্পর্কে খবর দেখার পরেই ভেঙে পড়েছেন মীনাদেবী। তাঁর কথায়, ‘‘কানহাইয়ার গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা টিভির সামনে থেকে নড়িনি। আশা করি পুলিশ তাঁকে খুব একটা মারধর করেনি। কানহাইয়া নিজের বাবা-মাকে কখনও অসম্মান করেনি। সে দেশকে কখনও অসম্মান করতে পারে না।’’
কানহাইয়ার বাবা ৬৫ বছরের জয়শঙ্কর সিংহ ছিলেন কৃষক। তাঁর দাবি, কানহাইয়া হিন্দুত্ববাদী চক্রান্তের শিকার। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিজেপি-বিরোধী নানান কর্মসূচির প্রথম সারিতে থাকে। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনাতেও নানা কর্মসূচি নিয়েছিল। হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরোধিতা করার জন্যই কানহাইয়ার এই পরিণতি। আমার ছেলে কখনওই মাদার ইন্ডিয়ার অপমান করতে
পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy