নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
সমাজমাধ্যমে ‘মোদী কা পরিবার’ লেখা থেকে বিরত হতে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে ওই বার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, মোদী ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার আর কভার ফোটো বদলেছেন।
মোদী লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনী প্রচারপর্বে ভারত জুড়ে মানুষ আমার প্রতি স্নেহের চিহ্ন হিসাবে সমাজমাধ্যমে তাঁদের ‘মোদি কা পরিবার’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। আমি এর থেকে অনেক শক্তি অর্জন করেছি। ভারতের জনগণ পর পর তৃতীয় বারের মতো এনডিএ-কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। নতুন নজির তৈরি করে আমাদের দেশের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে।’’
এর পরেই মোদীর বার্তা— ‘‘আমাদের সকলের এক পরিবার হওয়ার বার্তা কার্যকরী হয়েছে। আমি আবারও ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এবং অনুরোধ করব যে আপনি এখন আপনার সামাজমাধ্যম থেকে ‘মোদি কা পরিবার’ মুছে ফেলতে পারেন। তবে পরিচিতির পরিবর্তন হলেও ভারতের অগ্রগতির জন্য সক্রিয় অভিন্ন পরিবার হিসাবে আমাদের বন্ধন দৃঢ় এবং অটুট থাকবে।’’
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ঠিক আগে বিহারে গিয়ে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদকে খোঁচা দিতে গিয়ে মোদীর প্রধান অস্ত্র করেছিলেন ‘পরিবারতন্ত্র’কে। সেই প্রসঙ্গ টেনে পটনায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র এক জনসভায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু বলেছিলেন, ‘‘মোদী বার বার দাবি করেন, বিরোধীরা পরিবারের জন্য লড়ছেন। আমি বলতে চাই আপনার (নরেন্দ্র মোদী) তো পরিবারই নেই!’’
লালুর সেই মন্তব্যে নিন্দার ঝড় ওঠে পদ্মশিবির থেকে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, ‘‘মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন লালু।’’ এর পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ বিজেপির ছোট-বড় নেতারা তাঁদের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) নিজেদের নামের পাশে ‘মোদী কা পরিবার’ লেখেন। অর্থাৎ, সকলেই বোঝাতে চান, মোদী পরিবারহীন নন। তাঁরাই মোদীর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy