চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই বিহারে এখন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। ভোটের আগে বিহারে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি পরিবারতন্ত্র নিয়ে আরজেডি এবং কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এ-ও জানান, বিহারের উন্নয়ন থামবে না! একই সঙ্গে আরজেডি এবং কংগ্রেসের শাসনকালকে ‘জঙ্গলরাজ’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
বিহারের সিয়নের এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় মোদী যেমন এনডিএ সরকারের উন্নয়নের কথা বলেন, তেমনই একযোগে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বলি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, কিন্তু আরজেডি এবং কংগ্রেস ‘পরিবার কা সাথ, পরিবার কা বিকাশ’-এ বিশ্বাসী। কংগ্রেসরাজই ভারতের দারিদ্র্যের জন্য দায়ী। দলের নেতাদের পরিবার যত ধনী হয়ে ওঠেন, মানুষ ততই গরিব হতে থাকেন।’’ মোদীর দাবি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রাদায়গুলি এর সবচেয়ে বড় শিকার!
অনেকের মতে, আরজেডি নেতা তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের স্বজনপ্রীতির অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মোদী। উল্লেখ্য, তেজস্বীর অভিযোগ, বিহারের বিভিন্ন কমিশনে এনডিএ তার নেতাদের বিভিন্ন আত্মীয়কে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই বিহারে গিয়েই মোদী দাবি করেন, ‘জঙ্গলরাজ’ তৈরি করা দলগুলি আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘আগে বিহারের কী অবস্থা ছিল, তা আজকের তরুণ প্রজন্ম শুধু শুনেছে। বিহারে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসে অনেক উন্নতি করেছে।’’ তবে সেই উন্নয়নের গতি থামবে না বলেই দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘বিহারের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে হবে। মোদী শান্তিতে ঘুমাবে না। আপনাদের সকলের জন্য কাজ করে যাবেন। আপনারা সকলেই আমার পরিবার।’’
গত পাঁচ মাসে মোদী এই নিয়ে পঞ্চম বার বিহারে গেলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর জনসভা যে জেলায় ছিল, সেই সিয়ন এবং তাঁর নিকটবর্তী জেলা গোপালগঞ্জ, ছাপরা আরজেডির শক্তঘাঁটি। সেই ঘাঁটিতে মোদী ভাঙন ধরার চেষ্টা করলেন বলে দাবি অনেকের।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার জনসভার আগে একঝাঁক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। ৫,৯০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মোট ২৮টি উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু হয় তাঁর হাত ধরে। বৈশালি-দেওরিয়া রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। একটি নতুন ট্রেনের সূচনাও করেন তিনি। এ ছাড়াও, জল সরবরাহ, নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মোদী।