বিশ্বে অগ্নিগর্ভ ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সীমান্ত সন্ত্রাস এবং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাতে আড়ালে না চলে যায়, সে জন্য সক্রিয় সাউথ ব্লক। জুলাই মাসেই প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ায়। বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উঠে আসবে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিসূত্র খোঁজাও তাঁর লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে বলে জানাচ্ছে সাউথ ব্লক সূত্র।
এক মাসে পাঁচটি দেশে সফরের পরিকল্পনা মোদীর। প্রথমেই যাবেন উত্তর আফ্রিকায় নতুন বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তা মিত্র মরক্কোয়। এর পরে আর্জেন্টিনা। খনিজ সম্পদে ভরপুর ভারতের সঙ্গে মারাদোনা-মেসির দেশের বাণিজ্যিক বোঝাপড়ার চেষ্টা কয়েক বছর আগেই শুরু হয়েছে। এর আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আর্জেন্টিনা সফর করেছেন একই উদ্দেশ্যে। আর্জেন্টিনার পরেই ব্রাজ়িল। সেখানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মোদীর। ওই মঞ্চে থাকবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মিশর, ইথিওপিয়ার নেতারাও। এর পরে মোদীর যাওয়ার পরিকল্পনা জর্ডনে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরে প্রথম বিদেশ সফরে চিনে গিয়ে বৈঠক (এসসিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের) শুরু করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বুধবার কিংদাও শহরে ওই বৈঠকে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। রাশিয়া এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হবে রাজনাথের। গলওয়ানে সংঘাতের পরে এই প্রথম চিন সফর তাঁর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য তিনি যৌথ ও ধারাবাহিকচেষ্টার আহ্বান জানাবেন সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)