আমদানি খরচ কমাতে ও দেশীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিদেশের উপরে নির্ভরশীলতা আছে এমন অন্তত একশোটি পণ্য কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এ দেশে তৈরির পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে ওই পথনির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আজকের বৈঠকে মোদী জানিয়েছেন খুব দ্রুত জাতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং (উৎপাদন) মিশন হাতে নিচ্ছে কেন্দ্র।
এ প্রসঙ্গে আজ মোদী জানিয়েছেন দেশে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যেই ওই মিশন হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে এর জন্য প্রতিটি রাজ্যকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে মোদী বলেন, বিশ্বের বড় মাপের সংস্থাগুলির লগ্নি টানার জন্য প্রতি রাজ্যকে উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য প্রতিটি রাজ্যে বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। যার মধ্যে ব্যবসা করার প্রশ্নে জটিলতা কাটানো, জমি ও উচ্চমানের পরিষেবা পেতে যাতে সমস্যা না হয় সে দিকে মুখ্যসচিবদের নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উৎপাদনমুখী শিল্পকে উৎসাহ দিতে রাজ্যগুলিকে সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ (ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস) গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিষেবা ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, পরিষেবা ক্ষেত্রের মধ্যে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, পর্যটন, কৃত্রিম মেধার মতো বিষয়গুলিতে। যাতে পরিষেবা প্রশ্নে গোটা বিশ্বের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে এ দেশ।
পাশাপাশি বৈঠকে ভারত যাতে বিশ্বের ফুড বাস্কেট হয়ে উঠতে পারে সে জন্য উচ্চ মূল্যের কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন মোদী। ইতিমধ্যেই দেশের যে দেশের একশোটি জেলায় কম উৎপাদন হয় সেগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। ওই তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে নিজেদের রাজ্যে থাকা কম উৎপাদনমুখী জেলাগুলির উৎপাদনজনিত সমস্যা দূর করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)