প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর জন্য নিজের পাঁচ মাসের সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সুচিত্রা দেববর্মা নামে ওই মহিলা। তার পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। যদিও পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ঘরের মধ্যে শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সুচিত্রার স্বামী অমিত দেববর্মা কারখানার শ্রমিক। তিনি তখন কারখানায় ছিলেন। সুচিত্রাও বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির দরজা বাইরে থেকে খোলা অবস্থায় ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক ঠেকায় স্থানীয় বাসিন্দারাই থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর দেহ উদ্ধার করে। কী কারণে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সুচিত্রা। প্রায় এক বছর ধরে ওই সম্পর্ক চলছিল। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার বাঁধতে চেয়েছিলেন মহিলা। গ্রামবাসীদের থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই ওই মহিলার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পুলিশি অভিযানে ধরাও পড়ে যান মহিলা। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন সুচিত্রা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করেই সন্তানকে খুন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
পুরো ঘটনাটি সুচিত্রা একাই ঘটিয়েছেন, নাকি এই খুনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মহিলার প্রেমিকের ভূমিকাও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মহিলার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেও তথ্যসংগ্রহ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।