Advertisement
E-Paper

সাত সকালেই গ্রেফতার রুমি

গাড়ি চুরি চক্রের জালে জড়িয়ে শেষে গ্রেফতার হলেন বিধায়ক রুমি নাথ। আদালত তাঁকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের বড়খোলার বিধায়কের বিরুদ্ধে ৪টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন আগেই বাতিল করেছিল গৌহাটি হাইকোর্ট। গাড়ি চুরি চক্রের পাণ্ডা অনিল চৌহানের সঙ্গে যোগাযোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পর, সপ্তাহ খানেক উধাও ছিলেন রুমিদেবী। গত কাল তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে না। তিনি তাঁর সরকারি আবাসনে রয়েছেন। তদন্তে পুলিশকে সব রকম সাহায্য করতেও প্রস্তুত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩৬
আদালতের পথে কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথ। ছবি: উজ্জ্বল দেব

আদালতের পথে কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথ। ছবি: উজ্জ্বল দেব

গাড়ি চুরি চক্রের জালে জড়িয়ে শেষে গ্রেফতার হলেন বিধায়ক রুমি নাথ। আদালত তাঁকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের বড়খোলার বিধায়কের বিরুদ্ধে ৪টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন আগেই বাতিল করেছিল গৌহাটি হাইকোর্ট।

গাড়ি চুরি চক্রের পাণ্ডা অনিল চৌহানের সঙ্গে যোগাযোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পর, সপ্তাহ খানেক উধাও ছিলেন রুমিদেবী। গত কাল তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে না। তিনি তাঁর সরকারি আবাসনে রয়েছেন। তদন্তে পুলিশকে সব রকম সাহায্য করতেও প্রস্তুত।

আজ সকালে রুমিদেবীর আবাসনে পৌঁছয় পুলিশ। সকাল সাতটা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিসপুর থানায়। চলতে থাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। রুমিদেবী জানিয়েছিলেন, অনিলকে তিনি চিনতেন না। তাঁর স্ত্রী রীতাদেবীর কথায় বিধানসভার কার-পাস দিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানান, বিধায়কের যুক্তিতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। কারণ ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে রুমি-অনিল যোগাযোগের অনেক প্রমাণ এসেছে। জেরায় অনিল রুমিদেবীর আবাসনে নিয়মিত যাতায়াত করার কথা জানিয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, পূর্ত দফতরে দ্বিতীয় শ্রেণির ঠিকাদার হওয়ার জন্য পূর্তমন্ত্রী অজন্তা নেওগকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রুমিদেবী। পূর্ত দফতরে হানা দিয়ে পুলিশ কিছু ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছে।

গত কাল পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা রুমিদেবীকে জেরা করতে পারেন। তবে আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এর পরই রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হন। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বুঝতে পেরে, রুমিদেবীকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে সবুজ সঙ্কেত দেয় দিসপুর।

এ দিন জেরা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন রুমিদেবী। থানাতেই দু’জন চিকিৎসককে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা জানান, শাসক দলের ওই বিধায়ককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে সিজেএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তিন দিনের জন্য রুমিদেবীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইলেও, বিচারক তাঁকে ১ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান।

রুমিদেবীর আইনজীবী প্রণবকুমার দাস আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। তাঁর ব্রেন টিউমার রয়েছে। পুলিশ হেফাজতেই রুমিদেবীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। দিসপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করা, প্রতারণা, অপরাধীকে আশ্রয়, সই নকল-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। অনিল চৌহানের বিরুদ্ধে আজারা থানায় যে মামলা হয়েছে, তার সঙ্গেও জড়িয়েছে রুমিদেবীর নাম।

এ দিকে, অনিল চৌহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে এ দিন আজারা থানায় হাজির হন দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা। তাঁরা জানান, দিল্লিতে অনিলের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা ঝুলছে। অনিলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে ‘ট্রানজিট রিম্যান্ডের’ আবেদন জানাবেন তাঁরা। মুম্বই, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল-সহ অন্য রাজ্যেও অনিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বন্যপ্রাণী পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে। অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অনিলের ১৭টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে পুলিশ।

assam cong mla rumi nath rumi nath assam car stealing nexus anil chauhan car smuggling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy