দুর্গাপুজোর মণ্ডপে বধূর নৃত্য পরিবেশনে আপত্তি জানিয়েছিলেন শ্বশুর। তার জেরেই অশান্তি। পরিবারের সকলে বৃদ্ধের বিপক্ষে চলে যান। বৃদ্ধের এমন আপত্তিতে সায় ছিল না বধূর শাশুড়িরও। অভিযোগ, সেই নিয়ে অশান্তির জেরেই পরিবারের সকলে মিলে বৃদ্ধকে খুন করেন। মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জ জেলার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৌগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সি রামরতি বিশ্বকর্মার পুত্রবধূ পাড়ার পুজোমণ্ডপে নৃত্য পরিবেশনের পরিকল্পনা করছিলেন। বধূর সেই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেই আপত্তি জানান রামরতি। বধূর নৃত্য পরিবেশনায় গৃহকর্তা সায় না-দিতেই অশান্তি বাধে পরিবারে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র শ্বশুরেরই আপত্তি ছিল বধূর নৃত্য পরিবেশনায়। তা নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। এরই মধ্যে রামরতির নাতি কোদাল দিয়ে তাঁর উপর হামলা করেন। রামরতির স্ত্রী এবং পুত্রও তাঁর উপর চড়াও হন। শেষে স্ত্রী এবং পুত্র মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে ইতিমধ্যে মৃতের স্ত্রী, পুত্র এবং নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলিশি জেরায় ঘটনার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি অভিযুক্ত। যদিও যাকে কেন্দ্র করে গোটা ঘটনা, সেই বধূকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনায় তাঁরও কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।