আশ্রমের মধ্যে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। ৩০ বছর বয়সি ওই নির্যাতিতা জাতীয় স্তরের তাইকোন্ডো খেলোয়াড়। তাঁকে ঘুমের ওষুধ মেশানো লাড্ডু খাইয়ে অচেতন করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত জানুয়ারি মাসে। তবে ওই সময় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। গত বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ জানান তরুণী। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটিও যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার কানপুরের ডিসিপি দক্ষিণ মহেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন অভিযোগপত্র জমা দেন নির্যাতিতা। তরুণী জানান, কানপুর শহরে পুরনো ফুটপাথের ধারে তাঁর একটি জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। এক প্রৌঢ় তরুণীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, চার হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে একটি দোকান খুলতে দেওয়া হবে। কানপুরের একটি আশ্রমের কথাও তরুণীকে বলেন ওই প্রৌঢ়। তাঁকে বলা হয়, ওই আশ্রমে নাকি বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা দোকান তৈরি করতে সাহায্য করবেন তরুণীকে।
আরও পড়ুন:
সেই মতো গত ২৮ জানুয়ারি ওই আশ্রমে যান তরুণী। নির্যাতিতার দাবি, সেখানে তাঁকে একটি লাড্ডু খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেটি খাওয়ার পরেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তরুণীর সন্দেহ, ওই লাড্ডুর মধ্যেই ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ, তিনি অচেতন হয়ে পড়ার পরে ওই প্রৌঢ় এবং আশ্রমের আরও তিন জন তাঁকে ধর্ষণ করেন।
ডিসিপি দক্ষিণ জানান, গত শনিবার পুলিশের একটি দল ওই আশ্রমে গিয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় আশ্রমের যে ঘরটি দেখা গিয়েছে, সেই ঘরে যান পুলিশকর্মীরা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আশ্রমের অভিযুক্তেরা তরুণীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময়ে তাঁরা প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন।