নিহত পুলিশ আধিকারিক চিংথাম আনন্দ। ছবি: সংগৃহীত।
মণিপুরের টেঙ্গনৌপলে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলেন মোরে মহকুমার পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। যে এলাকায় ওই পুলিশ আধিকারিককে খুন করা হয়েছে, সেটি কুকি অধ্যুষিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মোরের একটি স্কুলে হেলিপ্যাড পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন এসডিওপি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের জওয়ানরা। ওই স্কুলে পোঁছতেই জঙ্গিরা পুলিশকর্তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর জখম হন এসডিওপি। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই শহর থেকে নিরাপত্তাবাহনীকে সরানোর দাবি তুলছে বেশ কয়েকটি সিভিল সোসাইটি সংগঠন। তার মধ্যেই এই ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুরের টেঙ্গনৌপনল জেলা। জঙ্গিদের ধরতে মোরেতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুলির ধরন দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে পুলিশকর্তাকে খুন করার জন্য স্নাইপার ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এ বীরেন সিংহ। তিনি বলেন, “ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিককে। হামলাকারীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।”
সোমবারই পূর্ব ইম্ফল এবং চূড়াচাঁদপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেই অভিযানে প্রচুর বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযানে ১৪টি অস্ত্র, ৪১টি গ্রেনেড, ৫টি গুলির খোল এবং ২টি মর্টার উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও দু’টি ৯এমএম পিস্তলও পাওয়া গিয়েছে। সোমবারই অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের ছ’টি বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে আসাম রাইফেলস এবং সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। এই অভিযানে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্ত এলাকা থেকে মায়ানমারের ১০ জনের বেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি থেকে চুরির অভিযোগ উঠেছে এই ১০ জনের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy