Advertisement
E-Paper

মোবাইল চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়েই হিমানীকে খুন, সাজানো হয় ডাকাতির গল্প! দাবি পুলিশের

অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করে সেই তথ্য জানার চেষ্টাও করছেন তদন্তকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৫
Police revels shocking information about death of Himani Narwal

মৃত কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়াল। —ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, তা আগেই অনুমান করেছিলেন তদন্তকারীরা। সোমবার হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, হিমানীকে খুন করতে ব্যবহার করা হয় মোবাইলের চার্জার! ওই চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই সচিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। হরিয়ানার রোহতকে নিজের বাড়িতেই হিমানীকে খুন করা হয়। তার পর তাঁর দেহ ট্রলিতে ভরে ফেলে আসা হয় সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাইওয়ের ধারে, এমনই জানালেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, হিমানীকে খুন করেন শচীনই! পুলিশি জেরায় সেই কথা স্বীকারও করেন ধৃত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বিবাহিত। ঝাজ্জর জেলার একটি মোবাইল দোকান চালান। রোহতকের এডিজিপি কৃষ্ণকুমার রাও বলেন, ‘‘শচীনের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে আলাপ হয়েছিল হিমানীর। রোহতকে একাই থাকতেন হিমানী। সেই বাড়িতে যাতায়াত ছিল শচীনের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত হিমানীর বাড়ি এসেছিলেন। কোনও এক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। অশান্তির মাঝেই মোবাইল চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে হিমানীকে খুন করেন অভিযুক্ত!’’

শচীন একা, নাকি খুনের নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। হিমানীর মা সবিতা বার বার দাবি করছেন, কোনও এক জন ব্যক্তির পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁর কন্যার খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। পুলিশও সেই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে না। পুলিশের দাবি, খুন করার পর হিমানীর গয়না, মোবাইল এবং ল্যাপটপ লুট করা হয়। তার পর দেহ ওই বাড়িতে থাকা একটি ট্রলিতে ভরে ফেলে আসা হয়। ঘটনাটিকে ডাকাতির ঘটনা হিসাবে সাজানোর চেষ্টা হয়েছিল। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করে সেই তথ্য জানার চেষ্টাও করছেন তদন্তকারী।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক জেরায় দাবি করেছেন, হিমানীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। ব্ল্যাকমেল করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন হিমানী। যদিও ধৃতের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের হাতে কামড় এবং আঁচড়ের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের সময় হিমানী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। তবে পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান রোহতকের এডিজিপি।

Himani Narwal Congress Murder Haryana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy