কয়েক দিন আগেই যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। তার পর দেশের নানা এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবিবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন মাওবাদী নেতা মণীশ যাদব। তাঁর মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার গভীর রাতে লাতেহার জেলার দাওনায় জঙ্গলের ভিতর নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মাওবাদী নেতা মণীশ যাদবের। পলামুর ডিআইজি ওয়াইএস রমেশ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, রাতেই গ্রেফতার করা হয় আর এক মাওবাদী নেতা কুন্দন খেরওয়ারকে।
দু’দিন আগেই ঝাড়খণ্ডের নকশালপন্থী আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি পরিষদ’ (জেজেএমপি)-এর দুই নেতা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন। শুক্রবার রাত থেকেই পলামু অরণ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জেজেএমপির ডেরায় অভিযান চালানো হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদী-মুক্ত করা হবে। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়। সেই অভিযানের অংশ হিসাবেই বুধবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অবুঝমাঢ় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল, অবুঝমাঢ়ে লুকিয়ে রয়েছেন এক মাওবাদী কমান্ডার। প্রথমে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে পরে জানা যায়, ওই কমান্ডারই হলেন বাসবরাজ।