পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন পণের জন্য স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার যুবক বিপিন ভাটি। পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশের দাবি, পালানোর সময় এক পুলিশ অফিসারের কোমর থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত। পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। তাঁকে বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তার পরেও পালানোর চেষ্টা করেন বিপিন। তখনই তাঁর পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সিরসা চুরাহার কাছে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, যেখান থেকে দাহ্য পদার্থ কিনেছিলেন বিপিন, সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাচক্রে, বিপিনকে ‘এনকাউন্টার’-এর কয়েক ঘণ্টা আগে মৃতার বাবা দাবি করেছিলেন, তাঁর কন্যার জীবন যাঁরা কেড়ে নিয়েছেন, তাঁদের ‘এনকাউন্টার’ করা হোক। রাজ্য প্রাশাসনের উপর তাঁর আস্থা আছে বলেও দাবি করেছিলেন। সেই দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত বিপিনকে গুলি করল পুলিশ।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ‘আজ তক’-কে মৃতার বাবা বলেন, ‘‘পুলিশ সঠিক কাজ করছে। যে অপরাধী সে তো পালানোর চেষ্টা করবেই। বিপিন অপরাধী। আমার আবেদন, বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’ এই ঘটনার পরেও বিপিনের মধ্যে অনুতাপের কোনও চিহ্ন ধরা পড়েনি বলে এক তদন্তকারী জানিয়েছেন। ওই অফিসার দাবি করেছেন, বিপিন বলেছেন, ‘‘আমি অনুতপ্ত নই। নিকিকে আমি খুন করিনি। নিজেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক।’’
উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় পণের জন্য বধূ নিকি ভাটিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন নিকির স্বামী বিপিন। কী ভাবে মাকে তার বাবা, জেঠু, ঠাকুমা এবং দাদু মিলে খুন করেছে, পুলিশের কাছে সেই বর্ণনা দিয়েছে বিপিন এবং নিকির ছেলে। পণের ৩৬ লক্ষ টাকা না পেয়ে বৃহস্পতিবার নিকির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।