Advertisement
০১ মে ২০২৪
Mob Lynching in Delhi

দিল্লিতে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় সক্রিয় পুলিশ, একাধিক অভিযুক্তকে আটক করে চলছে জেরা

দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Police takes some stringent action on mob lynching case of Delhi

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৪৯
Share: Save:

প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় সক্রিয় হল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শী এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খুব শীঘ্রই অপরাধীরা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার ২৬ বছরের যুবক ইসরার আহমেদকে দিল্লির নন্দ নগরি এলাকায় একটি খুঁটিতে বাঁধেন কয়েক জন। এর পর তাঁকে লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে ওই মারধরের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, যে যুবককে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে, তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কাতর আবেদন করছেন, তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ সেই আকুতিতে কান দিচ্ছেন না কেউ। বরং মারধর আরও বেড়ে চলে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। মৃতের বাবা আব্দুল ওয়াজিদ পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলের মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে। এলাকার কিছু বাসিন্দা ওই যুবককে মরণাপন্ন অবস্থায় এক প্রতিবেশীর বাড়ি পৌঁছে দেন। তাঁর মুখেই গোটা ঘটনার কথা শোনেন পেশায় ফলবিক্রেতা ওয়াজিদ। তিনি আরও জানান যে, ছেলের সারা শরীরে মারধরের গভীর ক্ষত ছিল। বাড়িতে নিয়ে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছেলের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই আর পাননি তাঁরা বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওয়াজিদ।

বিষয়টিকে ‘চুরির অভিযোগে মারধর’ বলে দেখানো হলেও স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, এলাকার একটি মন্দিরে ঢুকে প্রসাদ খাওয়ার ‘অপরাধে’ই মারধর করা হয়েছে ওই যুবককে। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক রং নেই। পুলিশ জানায়, ইসরারকে যাঁরা বেঁধে মারধর করছিলেন, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ ছিলেন। তাঁরা সবাই সন্দেহের বশে এক জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। ইতমধ্যেই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mob Lynching Delhi Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE