পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান যশপাল সিংহ রাজপুত। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমিকা ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে। ‘শাস্তি’ দিতে বাড়িতে ঢুকে প্রেমিকা, তাঁর বাবা এবং ভাইকে গুলি করে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় প্রেমিকার বাবার মৃত্যুর হয়েছে। প্রেমিকা এবং তাঁর ভাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম সুভাষ খারাদি (২৬)। তিনি পুলিশের গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে একটি পিস্তল হাতে শাজাপুরের বাসিন্দা জাকির খানের (৫৫) বাড়িতে ঢোকেন সুভাষ। বাড়িতে ঢুকেই জাকিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাকিরের। জাকিরের কন্যা শিবানী এবং শিবানীর ভাইকে লক্ষ্য করেও গুলি চালান। এর পরই অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এই ঘটনার পর পরই শিবানীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সুভাষ লেখেন, ‘‘আমি শিবানীকে গুলি করেছি কারণ ও আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি তাঁকে এমন ব্যথা দিয়েছি যা ও কখনওই ভুলবে না।’’ এর কয়েক ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে সুভাষের দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, সুভাষ এবং শিবানীর সম্পর্ক ছিল। আর সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ শিবানীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইনদওরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশ প্রধান যশপাল সিংহ রাজপুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy