দেশের দীর্ঘতম রোপওয়ে উদ্বোধনের পরে সেটিতে হিমন্তবিশ্ব শর্মা, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য ও কুইন ওঝা। নিজস্ব চিত্র
নদীর উপর দিয়ে চলা দেশের দীর্ঘতম রোপওয়ের উদ্বোধনেও মিশে গেল রাজনীতি। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করে রোপওয়ে উদ্বোধনে আসা অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বললেন, রাজনীতি বা আন্দোলনের সঙ্গে শহর ভাঙচুর করার সম্পর্ক নেই। কিন্তু এখানে আবার কোনও আন্দোলন হলে, কারও রাগ হলে হয়ত রোপওয়ের দড়িই কেটে দেবে। তাঁর অনুরোধ, গুয়াহাটি সকলের শহর। রাজনীতি বা আন্দোলনের আঁচ যেন শহরে না লাগে। শহরের গরিমা ফেরাতে হবে সকলকে।
ব্রহ্মপুত্রের উপরে গুয়াহাটি থেকে উত্তর গুয়াহাটি পর্যন্ত ১৮২০ মিটারের এই রোপওয়ে তৈরি হওয়ায় এক ঘণ্টার রাস্তা ৮ মিনিটে পার করা যাবে। যাতায়াতে ভাড়া ১০০ টাকা। কেবিনগুলি এক বারে ৩০ জন যাত্রীবহনে সক্ষম হলেও কোভিডের নিয়ম মেনে আপাতত যাত্রীসংখ্যা বাঁধা হয়েছে ১৫ জনে। তৈরি শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। অনেক বাধা কাটিয়ে শেষ হয় গত বছর। খরচ হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা চলবে রোপওয়ে। উদ্বোধনে হিমন্ত ছাড়া ছিলেন গুয়াহাটি উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য ও গুয়াহাটির সাংসদ কুইন ওঝা।
হিমন্ত দাবি করেন, গত ৫ বছরে গুয়াহাটিতে আধুনিক হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট তৈরি, সাফাই, সৌন্দর্যায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কমেছে কৃত্রিম বন্যার সমস্যা। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, গত বছর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণে সাফ শহরের তালিকায় উত্তর-পূর্বে গ্যাংটকের পরে ছিল গুয়াহাটি। দেশের ৪২৫টি শহরের মধ্যে স্বচ্ছতায় স্থান ছিল ৩০৩ নম্বরে। এই বছরের স্বচ্ছতার হিসেবে দেশের ৩৮২টি শহরের মধ্যে গুয়াহাটির স্থান নেমে গিয়েছে ৩৫৬ নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy