বিদ্যুৎ অফিসে বিক্ষোভ। সোমবার করিমগঞ্জে।— নিজস্ব চিত্র।
ফের বিদ্যুত্ বিভ্রাটের শিকার করিমগঞ্জ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত করিমগঞ্জ শহরে বিদ্যুত্ পরিষেবা নেই বললেই চলে। স্বভাবতই বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে আরম্ভ করে ব্যবসায়ী, কারখানার মালিক থেকে সাধারণ জনগণকে। আজ করিমগঞ্জে বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের দফতর ঘেরাও করেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীরা নিগমের সহকারি ম্যানেজার নিরঞ্জন পালকেও দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁরা নিগমের স্থানীয় কর্তাদের বলেন, ‘‘মানুষের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে শহরের জনগণ রাস্তায় নামতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না। আর অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে তার দায়ভার কিন্তু নিগমকেই বইতে হবে।’’ করিমগঞ্জ শহরে গত পাঁচদিন ধরে বিদ্যুত্ নেই। কুড়ি কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা এলাকায় গাছ ভাঙার ‘অজুহাতে’ করিমগঞ্জ শহরকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ। অভিযোগ যাই হোক না কেন, সন্ধ্যায় সমস্ত শহরে এক ঘণ্টার বেশি বিদ্যুত্ থাকছে না। একই অবস্থা দিনের বেলায়ও। বিদ্যুত্ না থাকার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নিগমের করিমগঞ্জ অফিসের সহকারি ম্যানেজার নিরঞ্জন পাল বলেন, ‘‘ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় ছ’টি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়েছে। সেই কারণেই বিদ্যুত্ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।’’ তবে বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মীরা খুঁটিগুলি পুনরায় বসানোর কাজ করছে। তবে বৃষ্টির জন্য পুরো দমে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও নিরঞ্জনবাবু জানান। যে সব কর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে লাইন মেরামতির জন্য বিগত বছরগুলিতে কত টাকা ধার্য করা হয়েছিল, তারও হিসেব চান তাঁরা। আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে রবীন্দ্র দেব, সুদীপ চক্রবর্তী, কৃষ্ণ দাস বিভাগীয় আধিকারিককে জানিয়ে দেন, সোমবার বিকেলের মধ্যে যদি করিমগঞ্জ শহরে বিদ্যুত্ পরিষেবা নিয়মিত না হয় তবে আরও বড় প্রতিবাদে নামবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy