Advertisement
E-Paper

আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ! দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্না!

‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর পরই ভারত ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র তথা হাসান লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েক জন মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৬:০০
Prajwal Revanna, former MP and the grandson of former PM HD Deve Gowda

প্রজ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।

ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা প্রাক্তন জেডি(এস) সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। তাঁর কাকা এইচডি কুমারস্বামী কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য। কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। তাতে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ, সেই সময়ের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, সিটের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

নির্যাতিতা মহিলার বয়স ৪৮ বছর। তিনি হোলেনারসিপুরায় রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়িতে কাজ করতেন‌। অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে জোর করে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন প্রজ্বল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে, করোনা অতিমারির সময়। শুধু হোলেনারসিপুরার বাগানবাড়িতেই নয়, বেঙ্গালুরুর বাসগৃহেও তাঁকে ধর্ষণ করেন প্রজ্বল। প্রতিটি ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখেছিলেন প্রজ্বল। নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যদি তিনি কখনও এ নিয়ে মুখ খোলেন, তা হলে পরিণতি ‘ভয়ানক’ হতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(কে), ৩৭৬(২)(এন), ৩৫৪, ৫০৬ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা দায়ের হয়েছিল ২০০৮ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬(ই) তম ধারার অধীনেও। উল্লেখ্য, এটি প্রজ্বলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে একটি। গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ১০ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পৃথক মামলাও দায়ের করা হয় প্রজ্বলের বাবা হোলেনারসিপুরার বিধায়ক এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে।

গত লোকসভা ভোটে হাসনে জেডিএসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রজ্বল। সেখানে ভোটের আগে একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। ওই পেনড্রাইভে প্রজ্বলের যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো ছিল বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই প্রজ্বলকে দল থেকে সাসপেন্ড করে জেডিএস। ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর পরই ভারত ছাড়েন হাসান লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ। পরে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের জন্য কর্নাটক সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। তার পর থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই ছিলেন তিনি। গত নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় প্রজ্বলের। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রজ্বল অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন তিনি।

Prajwal Revanna HD Deve Gowda Rape case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy