দেশ জুড়ে মূলস্রোতে ফিরছেন নকশালেরা। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় আগামী দিনে চরমপন্থা নির্মূল হবে। ছত্তীসগঢ়ে গিয়ে এমনই আশা প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী দিনে চরমপন্থামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
ছত্তীসগঢ়ের সরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে বৃহস্পতিবার ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং রাজ্যপাল রমেন ডেকাও। আদিবাসী সমাজকে ধাপে ধাপে এগোনোর বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বলেছেন, ‘‘বামপন্থী চরমপন্থার পথ ত্যাগ করে ছত্তীসগঢ়ের মানুষ উন্নয়নের মূলস্রোতে ফিরে আসছেন। শুধু ছত্তীসগঢ়েই নয়, সারা দেশে নকশালেরা মূলস্রোতে ফিরছেন। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে চরমপন্থা সম্পূর্ণ নির্মূল করা এক দিন সম্ভব হবে।’’
আরও পড়ুন:
নকশালদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। একে ‘খুব সন্তোষজনক একটি পরিবর্তন’ বলেও উল্লেখ করেছেন। তাঁর আশা, উন্নয়নশীল আত্মনির্ভর ভারতে আরও বেশি করে অবদান রাখবে আদিবাসী সমাজ। সম্প্রতি বস্তার অলিম্পিক্সে ১ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। সে কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘‘আদিবাসী নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ছত্তীসগঢ়ের মানুষ শক্তিশালী, আত্মনির্ভর, বিকশিত ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন, আমি সে ব্যাপারে নিশ্চিত।’’
আদিবাসী নারীদের উন্নয়নের পক্ষেও বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী মহিলা ক্রিকেটদলে আদিবাসী ক্রিকেটার ক্রান্তি গৌড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘পরিশ্রম আর সংকল্পের এক বৈপ্লবিক উদাহরণ দেখিয়েছেন ক্রান্তি। সারা দেশের মেয়েদের, বিশেষত আদিবাসী নারীদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা।’’ একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি জানান, দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলোকে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।