Advertisement
E-Paper

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়! দিল্লিতে ডোভালের উপস্থিতিতে বললেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কী বার্তা

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:২৮
(বাঁ দিকে) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ (সিএসসি) থেকে পারস্পরিক সহায়তা এবং আঞ্চলিক শান্তিরক্ষার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে তিনি দিল্লিতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েছিলেন সিএসসি-তে। পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না-করার কথাও বলেছেন তিনি।

সিএসসি-তে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। ডোভালও সেখানে ছিলেন। আলোচনার বিষয় ছিল ভারত মহাসাগর এবং তার নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষার প্রতি পারিপার্শ্বিক দেশগুলির অবদান। খলিলুর বলেন, ‘‘বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়। স্বাধীন, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ ভারত মহাসাগর নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ বরাবর সেই দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করে আসছে। তবে এখানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না-করার বিষয়গুলিও মাথায় রাখা দরকার। মানবিক সহায়তা, শান্তি, স্বাধীনতায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের কাছে সমুদ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মেনে নিয়েছেন খলিলুর। তাই সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় তারা অন্য দেশগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করছে। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশ ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে বলে জানান খলিলুর।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। কিন্তু হাসিনা এখন ভারতে রয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই ভারতে চলে এসেছিলেন তিনি। একাধিক বার বাংলাদেশ তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে। ট্রাইবুনালের নির্দেশের পরেও নয়াদিল্লিতে চিঠি এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের চর্চায় উঠে এসেছে। তার মাঝেই সিএসসি-তে যোগ দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ নিয়ে বার্তা দিলেন সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

Bangladesh India Bangladesh Ties Ajit Doval Khalilur Rahman dhaka Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy