বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (বাঁ দিকে) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। ছবি— পিটিআই।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল সংসদের বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জানান, গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিকল্প সমাধান রয়েছে আমাদের দেশের হাতে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য এমন এক ভারত তৈরি করা যেখানে মানুষ প্রকৃত অর্থেই আত্মনির্ভর হবেন।’’ দুনিয়াজোড়া অনিশ্চয়তার আবহে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে, বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির সম্ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল বাজেট অধিবেশন। ঘটনাচক্রে, এই বাজেট দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশন। তাই মোদী সরকার জনতার সুরাহার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকে নজর থাকবে মধ্যবিত্তের। ঠিক তেমনই কর্পোরেট খাতে সরকার কতটা সুরাহা দেবে, তার দিকেও নজর রাখবে শিল্পমহল।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘‘আজ দেশে একটি স্থায়ী, নির্ভীক সরকার রয়েছে। যা বড় স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক।’’ তাঁর ভাষণে ঘুরেফিরে এসেছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তিন তালাক। তিনি বলেন, ‘‘আমার সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ কালক্ষেপ করেনি।’’ তাঁর মতে, ‘‘সবচেয়ে বড় বদল এসেছে প্রতিটি ভারতীয়ের মানসিকতায়। তাঁরা আজ আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন। এই কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভারত সম্পর্কে মূল্যায়নও বদলে গিয়েছে।’’
অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভারতের বাজেটের মধ্যে দিয়ে প্রচেষ্টা চলবে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে নজর দেওয়ার। গোটা বিশ্ব এতে আশার আলো দেখছে। আমার স্থির বিশ্বাস, নির্মলা সীতারামন সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করবেন। গোটা বিশ্বের নজর আজ আমাদের উপর।’’
রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে ছিল না আপ এবং বিআরএস (তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নতুন নাম)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে বিমান বিলম্ব করায় অধিবেশনে থাকতে পারেননি কংগ্রেস সাংসদরা।
গোটা বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতির টালমাটাল ভাব অব্যাহত। এই অবস্থায় বিনিয়োগ মহলের নজর রয়েছে ভারতের দিকে। সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে কী বার্তা পৌঁছে দেয় এ বারের বাজেট, তা অবশ্য স্পষ্ট হবে বুধবার।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে ছিল না আপ এবং বিআরএস (তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএসের নতুন নাম)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে বিমান বিলম্ব করায় অধিবেশনে থাকতে পারেননি কংগ্রেস সাংসদরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy