ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে ফের প্রশ্ন উঠল শিবসেনায় উদ্ধব ঠাকরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। এর আগে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিবসেনা। কিন্তু মুম্বইয়ে সোমবার শিবসেনার সংসদীয় দলের বৈঠকে ১৬ জন সাংসদ জানালেন, তাঁরা এনডিএ মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের পক্ষে। কারণ, দ্রৌপদী মুর্মু জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। মহারাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যক জনজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য রয়েছেন। অন্য দিকে শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের সদস্য পদ খারিজ নিয়ে বিধানসভায় শুনানি আপাতত পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
একনাথ শিন্ডে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার ফলে ভেঙেছে শিবসেনার পরিষদীয় দল। গত সপ্তাহে লোকসভায় নয়া মুখ্য সচেতক নিয়োগ করেছেন উদ্ধব। সংসদীয় দলকে ‘বিদ্রোহ’-এর আঁচ থেকে দূরে রাখাই উদ্দেশ্য বলে মত রাজনীতিকদের। কিন্তু সোমবারের বৈঠকের পরে প্রশ্ন উঠেছে, উদ্ধবের কৌশল কি আদৌ কার্যকরী হচ্ছে?
লোকসভায় শিবসেনার ১৯ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় তিন জন। সোমবারের বৈঠকে শিন্ডের ছেলে-সহ কয়েক জন সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর শিবসেনা সাংসদ গজানন কীরিটকর বলেন, ‘‘দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের বিষয়ে ১৬ জন সাংসদ একমত হয়েছেন। কারণ তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।’’ এর আগেও অবশ্য শিন্ডে অনুগামী বলে পরিচিত সাংসদ রাহুল শেওয়ালে দ্রৌপদীকে সমর্থনের দাবি তুলেছিলেন। উদ্ধব রাহুলের দাবি নিয়ে মুখ খোলেননি। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ সাংসদ ও দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেই চলে যান। সূত্রের খবর, তিনি দ্রৌপদীকে সমর্থন করতে রাজি নন।
অন্য দিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার দুই শিবিরের বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের শুনানি আপাতত স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। শিন্ডে শিবিরকে স্বস্তি দিয়ে শীর্ষ আদালত সদস্যপদ খারিজের আবেদনের জবাব দেওয়ার সময়সীমা ১২ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। গ্রীষ্মাবকাশের পরে আজ খুলেছে শীর্ষ আদালত। এ দিন উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ওই আর্জিগুলি দ্রুত শুনানির তালিকাভুক্তি প্রয়োজন। কারণ, মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার আগামিকাল সদস্যপদ খারিজের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা জানান, কোন বেঞ্চে আর্জিগুলির শুনানি হবে তা স্থির হয়নি। তাতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন, ‘‘স্পিকারকে জানান, বিধানসভার শুনানি স্থগিত রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy