সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে খানিক বক্রোক্তির সুরেই বিরোধী দলগুলিকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে বললেন, “নাটক করার অন্য অনেক জায়গা রয়েছে। এখানে (সংসদে) পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এসেছে বিহার নির্বাচনের প্রসঙ্গও। সেই সূত্রেই বিরোধী দলগুলিকে মোদীর পরামর্শ, হারের হতাশা কাটিয়ে জনস্বার্থে কাজ করুন।
বক্তৃতায় মজবুত গণতন্ত্রের উপর জোর দেন মোদী। বিহারের নির্বাচনকে গণতন্ত্রের ‘উজ্জ্বল উদাহরণ’ বলে ব্যাখ্যা করেন। তার পরেই বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “কিছু দল এখনও নির্বাচনী পরাজয়কে গ্রহণ করতে পারেনি।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, “ধারাবাহিক পরাজয় সংসদে আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না।” বিরোধীরা গত ১০ বছর ধরে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মোদী। প্রয়োজনে তাঁদের ভোটে জেতার টোটকাও দিতে পারেন বলে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওদের (বিরোধীদের) কৌশল বদল করা উচিত। আমি কিছু টোটকা বলে দিতে তৈরি আছি।”
নাটক-খোঁচা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সংসদে ঢোকার আগে তিনি বলেন, “দূষণ কিংবা এসআইআর-এর মতো জরুরি বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। বিষয়গুলি তোলা নাটক নয়। যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয় না, তখনই আদতে নাটক করা হয়।” তাঁর প্রশ্ন, কেন বিষয়গুলি নিয়ে তাঁদের আলোচনা করতে দেওয়া হবে না?
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন ২০ দিন ধরে চলে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর আগে, রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ওই বৈঠকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।